Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনায় ব্যাংকের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

স্টিল মিল মালিকদের সংবাদ সম্মেলন স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনায় টালামটাল অর্থনীতি। বর্তমান সঙ্কট মোকাবিলায় যেখানে ব্যাংকগুলোকে সাহায্যের হাত স¤প্রসারণ করা উচিত, সেখাতে তারা হাত গুটিয়ে নিয়েছে। পাশাপাশি ঋণের ১৪ শতাংশ হারে সুদ দিতে চিঠি দিয়েছে। তাই সঙ্কট উত্তরণে সরকারি অনুদান নয়, স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের দাবি জানিয়েছে স্টিল ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমএ)। একইসঙ্গে আগামী বাজেটে স্ক্যাপ আমদানিতে আগাম কর (এটি) প্রত্যাহার, আমদানি শুল্ক ছাড়, অগ্রিম আয়কর (এআইটি) প্রত্যাহার, খুচরা বিক্রি পর্যায়ে ভ্যাট হ্রাস ও উৎসে আয়কর প্রত্যাহারের দাবি জানায় সংগঠনটি।
গতকাল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএ নেতারা এসব দাবি জানায়। সংগঠনের সভাপতি মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
স্বাগত বক্তব্যে স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মনোয়ার হোসেন বলেন, গত ২ মাসে করোনার প্রভাবে এ সেক্টরে ৩ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থা ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতে থাকলে লোকসানের পরিমাণ ১৭-১৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। আগামীকালও যদি করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয় তাহলেও স্টিল খাতকে আগের অবস্থায় ফিরে যেতে ২৪ মাস সময় লাগবে।
তিনি বলেন, সংকট উত্তরণে ব্যাংকগুলোকে নিয়ে চিন্তা ও ভয় কাজ করছে। কিছু ব্যাংক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও বেশিরভাগ হাত গুটিয়ে নিয়েছে। উপরন্তু ঋণের ১৪ শতাংশ হারে সুদ দিতে চিঠি দিয়েছে। দুর্যোগের সময় এ রকম অবজ্ঞা, অনিয়মকে রাষ্ট্রদ্রোহ বিবেচনা করে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। মনোয়ার হোসেন বলেন, স্টিল সেক্টর জনগণের ট্যাক্সের টাকা অনুদান হিসেবে নিতে চায় না। আমরা স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ চাই। বিদ্যমান ঋণের মেয়াদ এবং এলসির লিমিট বৃদ্ধি চাই।
ক্ষোভ প্রকাশ করে মনোয়ার হোসেন বলেন, এই সময় ব্যাংকগুলো ব্যবসায়ীদের ঘাড়ে গোপন চার্জ চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। এ বিষয়ে এবং সরকার ঘোষিত ৯ শতাংশ সুদের ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। পাশাপাশি গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল আদায় অন্তত ৪ মাসের জন্য স্থগিত রেখে পরবর্তীতে তা ১২ মাসে কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দিতে হবে। কারণ কারখানা বন্ধ থাকায় স্টিল খাতে কালেকশন হচ্ছে না। এ অবস্থায় শ্রমিকদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছে মিল মালিকরা।
বাজেট শুল্ক-কর সংক্রান্ত প্রস্তাব তুলে ধরে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, করোনায় কোন সেক্টর কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা বিবেচনায় নিয়ে আগামী বাজেটে সহায়তা দিতে হবে। স্টিল খাতের কাঁচামাল শতভাগ আমদানিনির্ভর। তাই স্ক্যাপ আমদানিতে আগাম কর (এটি) প্রত্যাহার, আমদানি শুল্ক ছাড়, অগ্রিম আয়কর (এআইটি) প্রত্যাহার, খুচরা বিক্রি পর্যায়ে ভ্যাট হ্রাস ও উৎসে আয়কর প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুনাফা করা অসম্ভব। তাই অমূলক ও অযৌক্তিক অগ্রিম আয়কর আদায় বন্ধ এবং সরকারের কোষাগারে জমা থাকা আগাম কর ফেরত দেয়া উচিত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ