পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যাত্রাবাড়ী থানা ৫০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সায়েম খন্দকার। গতকাল রোববার দুপুরে তিনি মারা যান। অন্যদিকে গত ২৪ঘন্টায় ঢামেকের করোনা ইউনিটে ১২জন মৃত্যুবরন করেছেন। এদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজন মহিলাসহ ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকী ৯জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরন করেছেন। ঢামেকের করোনা ইউনিটে গত শনিবার ১০জনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজন মহিলা ও একজন পুরুষের মৃত্যু হয়। বাকী ৮জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরন করেন। এ পর্যন্ত ঢামেকের করোনা ইউনিটে ১৪৪জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ওয়ার্ড মাস্টার মো. রিয়াজ বলেন, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সায়েম মারা গেছেন। তার করোনা পজেটিভ ছিল। পরিবারিক সিদ্ধান্তে সরকারি করোনাবিধি অনুযায়ী জানাজা নামাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রেখে যান। ৫০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সায়েম খন্দকারের মৃত্যুতে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢামেকে সায়েমের এক আত্মীয় সাংবাদিকদের জানান, সায়েম খন্দকারের বাসা যাত্রাবাড়ি টানপাড়া সামাদ সুপার মার্কেটের পাশে। গত ২০ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। স্কয়ার হাসপাতালে করোনাভাইরাস টেস্ট করে পজিটিভ আসে। এরপর ৮/১০ দিন ধরে ঢামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। গতকাল রোববার সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, এলাকায় অসহায় মানুষদের ত্রাণ দিতে গিয়ে সায়েম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই বহু অসহায় মানুষকে ত্রাণ দিয়েছেন। করোনাভাইরাসে মৃত ব্যক্তিদের জানাজা দেয়ার জন্যও আলাদা জায়গা তৈরি করেছিলেন তিনি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, করোনা ইউনিটে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী ছাড়া উপসর্গ আছে এমন রোগী, নিউরো সার্জারি, অর্থোপেডিক্স, শিশু বিভাগের রোগীরাও চিকিৎসা পাচ্ছেন। এমনকি করোনা আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা নারীদের চিকিৎসা দেয়া হয়। তাই অনেক সাধারণ রোগী আছে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে শেষ মুহুর্তে ঢামেকে আসেন। যখন আসে তখন চিকিৎসকদের আর কিছু করার থাকে না। এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমন দাবি করলেও করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী, রোগীর স্বজন, মৃত রোগীর স্বজনরা ভিন্ন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এখানে আসা গুরুত্বর অসুস্থ অনেক রোগী সময়মতো সেবা পাননা বলেও কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।