পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উচ্চঝুঁকির চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বাড়লেও চিকিৎসা সেবা এখনও চলছে জোড়াতালি দিয়ে। নমুনা টেস্টেও গতি আসেনি। হাসপাতালে শয্যা, আইসিইউ সুবিধা নেই। সঙ্কটাপন্ন রোগীদেরও হাসপাতালে ঠাঁই মিলছে না। এতে মৃত্যু বাড়ছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন চার জন।
গতকাল রোববার পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় সোয়া ৭শ’। আর শয্যা মাত্র ১৪০টি। শয্যার পাঁচগুণ বেশি রোগী। শয্যা খালি না থাকায় রোগী ভর্তি বন্ধ। এতে সঙ্কটে পড়েছেন রোগীর স্বজনেরা।
এমন বেহাল দশায় জনমনে উদ্বেগ-শঙ্কা বাড়ছে। গেল ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়ে। গত এক সপ্তাহে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তবে সে অনুপাতে চিকিৎসা ও টেস্টের সুযোগ বাড়ছে না। পদে পদে সমন্বয়হীনতা আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় চরম বিশৃঙ্খলা চলছে।
জেনারেল হাসপাতালে ১০টি আইসিইউসহ ১১০ এবং বিআইটিআইডিতে ৩০টি মিলে ১৪০ শয্যায় চলছে চিকিৎসা। বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রায় দুই কোটি মানুষের জন্য এ দুই হাসপাতালই এখন ভরসা। চমেক হাসপাতালে আলাদা ব্লক করে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হলেও কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতির জন্য এক সপ্তাহ সময় চেয়ে বসেছে। সামনে ঈদ, ফলে হাসপাতাল প্রস্তুত কবে হবে তা অনিশ্চিত।
হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল প্রস্তুত বলা হলেও সেটি চালুর অনুমতি মিলেনি। সিআরবি রেলওয়ে হাসপাতালও প্রস্তুত হয়নি। বেসরকারি ১২টি হাসপাতালের আইসিইউসহ শয্যা ব্যবহার করা যাবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলে আসছিলেন। তবে বাস্তবে তাও হচ্ছে না।
বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি প্রফেসর ডা. মজিবুল হক খান বলেন, রোগীর তুলনায় হাসপাতালে শয্যা একেবারেই কম। তবে চমেক হাসপাতাল এবং হলি ক্রিসেন্ট চালু হলে সঙ্কট থাকবে না। হলি ক্রিসেন্ট চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের অধীন পরিচালনার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে মহানগর জেলার কয়েকটি এলাকা করোনার হটস্পট। এসব এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। নগরীর দামপাড়া, পাহাড়তলী, সাগরিকা ও হালিশহরের মতো জেলার সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী ও সীতাকুন্ডে রোগী বাড়ছে। চিকিৎসকরা বলছেন মানুষ লকডাউন না মানায় এমন হচ্ছে।
নতুন করে একজন সাংবাদিক ও ম্যাটিস্ট্রেটসহ আরো ৭৫ জনের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত আক্রান্ত ৭১৬ জনের মধ্যে গতকাল ৬ জনসহ সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১০৮ জন। মারা গেছেন ৩৩ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।