বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা নয় এখন খুলনাঞ্চলের উপকুলবাসীর আতংক ঘুর্ণিঝড় ‘আম্পান’। এক দিকে খুলনা বাগেরহাট সাতক্ষীরার শত শত কি: মি: নাজুক বেড়িবাধ। অন্য দিকে ঘুর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এর আগাম খবরে ভিটেমাটি হারানোর ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে উপকুলবাসী।
তবে খুলনা সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার জেলা প্রশাসকগন এবং বিশেষ করে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘুর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থায় রয়েছে। মংলা বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
খুলনা আবহাওয়া অফিস বলছে, আস্তে আস্তে ঘুর্ণিঝড় ‘আম্পান’ শক্তিশালী হচ্ছে এবং তা আসছে পশ্চিমবঙ্গ উপকুলের দিকে। যার প্রভাব পড়তে পারে খুলনাঞ্চলে। ঘুর্ণিঝড় ‘আম্পান’ ঘন্টায় ৬ কি:মি: গতিতে আজ রোববার দুপুর নাগাদ মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫০ কি:মি: দক্ষিণ-দক্ষিন পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ওই সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি:মি: মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৬২ কি:মি:।
ঘুর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে ঢুকলে খুলনাঞ্চল দিয়ে তা অতিক্রম করতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া অফিস।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মংলা সুন্দরবন ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকুলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া খুলনা বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার ঘুর্ণিঝড় আশ্রায় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকুলবর্তী এলাকায় সকল সর্তক থাকার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।
এদিকে ঘুর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এর খবরে খুলনার কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা, বটিয়াঘাটা সাতক্ষীরার শ্যামনগর আশাশুনি, দেবহাটা, সহ বাগেরহাটের মংলা, রামপাল, শরনখোলার অধিবাসীরা আতংকিত হয়ে পড়েছে।
কারণ এ অঞ্চলে শত শত কি: মি: ভেড়ীবাধ নাজুক অবস্থায় রয়েছে। ঘুর্ণিঝড় ‘আম্পান’ ও সৃষ্ট জলোচ্ছাসে আবারও তছনছ হতে পারে আইলা সিডর বিধ্বস্ত এই এলাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।