পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশি করোনাভাইরাসের জিনগত রহস্য উদঘাটন করল যৌথভাবে বেসরকারি ডিএনএ সল্যুশন লি., সরকারি ডিআরআইসিএম এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল। বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টিকারী নভেল করোনাভাইরাসের জিনগত রহস্য সাফল্যজনকভাবে প্রথমবারের মতো উম্মোচন করেছে ডিএনএ সল্যুশনসহ যৌথভাবে ৩টি প্রতিষ্ঠান। সরকারি পর্যায়ের অন্য দুটি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের বিসিএসআইআরের ডিআরআইসিএম এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল। যুগান্তকারী এ আবিষ্কারের ফলে করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনে বাংলাদেশ আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। গতকাল ডিএনএ সল্যুশন লি. এ তথ্য জানায়।
কোভিড-১৯ নামে পরিচিত করোনাভাইরাস ইতোমধ্যে ইউরোপ-আমেরিকাসহ সারাবিশ্বের ৩ লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশেও আড়াইশর অধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে বিশ হাজারের বেশি এবং দিনে দিনে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। দেখা যাচ্ছে এই ভাইরাসে দেশ ভেদে মৃত্যু হার কম-বেশি হচ্ছে। আক্রান্তের হার এবং অসুস্থতায় তীব্রতা ও মাঝারি নিয়ে অনেকে সুস্থ হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসটির জিনগত বৈশিষ্ট্যের তারতম্যের কারনেই এমনটি হচ্ছে। তাই ভাইরাসটির সঠিক কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরির জন্য এর জিনগত বৈশিষ্ট্য উম্মোচন খৃুবই জরুরি। এই বিষয়টি স্মরণ রেখেই সরকারি দুটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে কাজ শুরু করে ডিএনএ সল্যুশন লি.।
অন্য দুটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যেগে দেশে করোনা আক্রান্ত দেড় শতাধিক রোগীর নমুনা নিয়ে গবেষণা করে। বাংলাদেশে বেসরকারি পর্যায়ের সবচেয়ে অত্যাধুনিক ল্যাব ডিএনএ সল্যুশন লি. তাদের এম্পলিকন বেইসড নেক্সট জেনারেশন সিকোন্সিং সিস্টেমের মাধ্যমে ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ এর ৫টি ভাইরাসের পুরো জিনোম সিকোন্সিং সাফল্যজনকভাবে উম্মোচন করে এক যুগান্তকারী মাইলফলক অর্জন করেছে। যা বাংলাদেশে সর্বপ্রথম। বাকি ভাইরাসগুলোর জিনোম সিকোন্সিংও আগামী কিছুদিনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসগুলোর উম্মোচিত জিনোম সিকোন্সিংগুলো ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক জিন ডাটা ব্যাংক (জিআইএসএআইডি) বাংলাদেশ হতে গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশের করোনাভাইরাসের উম্মোচিত তথ্য-উপাত্ত হতে জিনের বৈশিষ্ট্য, রোগের গতি প্রকৃতি হতে করোনার প্রতিষেধক উৎপাদনে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প সাফল্যজনকভাবে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ডিএনএ সল্যুশন লি.-এর সমন্বয়ক বিজ্ঞানী ড. মো. ফজলে আলম রাব্বি, সরকারি ডিআরআইসিএম-এর পরিচালক ড. মালা খান, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ডিআইজি ড. হাসানুল হায়দার। এছাড়া এ গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ওষুধ কোম্পানি নিপ্রোজেএমআই ফার্মার প্রধান নির্বাহী মিজানুর রহমান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. কাজী নাদিম হাসান এবং ড.আব্দুল খালেক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।