পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ২৪১জন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এটিই পুলিশ বাহিনীতে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। আইন-শৃংখলা বাহিনীতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৮২ জনে। শুক্রবার পুলিশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২১৪১জন। এ পর্যন্ত করোনায় সাতজন পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ডিআইজি ড. হাসানুল হায়দার বলেন, রাজারবাগ হাসপাতালে ৭৮০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখন পুলিশে সুস্থ হওয়ার হার বাড়ছে। এটা ভালো লক্ষণ।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদস্য এক হাজার ৪১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যই বেশি। সারাদেশের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, করোনাভাইরাসমুক্ত হয়ে ৩৬১ পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, মাঠে নিয়োজিত সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও সুরক্ষিত থাকতে পারেন, সেজন্য সচেতনতার পাশাপাশি সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি জানানো হচ্ছে। সিনিয়র অফিসাররাও বিভিন্ন ইউনিটে গিয়ে তাদের সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বলছেন। সুরক্ষা সামগ্রী ও পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক সরবরাহ ও ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, হাসপাতালগুলোতে পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে। চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের মনোবল যেন অটুট থাকে এজন্য ঊর্ধ্বতন অফিসাররা এবং তাদের লাইন চিফরা তাদের হাসপাতালে ভিজিট করছেন। এছাড়া অসুস্থদের পরিবারের সদস্যদেরও খোঁজ-খবর রাখার জন্য সদরদফতর থেকে স্ব স্ব ইউনিটকে জানানো হয়েছে।
পুৃলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ছাড়াও ইমপালস হাসপাতাল, ট্রাফিক ব্যারাক চিকিৎসা কেন্দ্র ও রাজারবাগ স্কুুল অ্যান্ড কলেজকে রিকভারি সেন্টার করা হয়েছে। উপসর্গ থাকা এমনকি করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে ছিলেন এমন পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন পুলিশ লাইন্স থেকে সরিয়ে আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হোটেল, দিয়াবাড়িতে প্রস্তাবিবত পুলিশ লাইন্সের অস্থায়ী ক্যাম্প, রায়েরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, ডিবি ব্যারাকসহ ৩৫-৪০টি পৃথক জায়গায় রাখা হয়েছে। ৫০ বছরে বেশি বয়সের সদস্যদের খুব প্রয়োজন না হলে থানার বাইরে ডিউটিতে পাঠানো হচ্ছে না। তিন বা কোথাও চার ধাপে ভাগ করে ফোর্সদের ডিউটি করানো হচ্ছে। যাতে এক গ্রুপ সংক্রমিত হলেও অন্যরা মুক্ত থাকেন। অসুস্থ পুলিশ সদস্যদের দেখাশোনার জন্য গঠন করা হয়েছে ‹বিশেষ টিম›। ঢাকায় একাধিক হাসপাতাল ছাড়াও বিভাগীয় শহরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।