প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘদিন হলো নাটকের শুটিং বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন নির্মাতা-শিল্পী ও কলাকুশলীরা। কোনও কাজ না থাকায় বেকারত্বের সঙ্গে দিন যাপন করছেন অনেকেই। এবার তাদের কথা বিবেচনা করে ঈদের আগে শুটিংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেন টিভি নাটকের সংগঠনগুলো।
সম্প্রতি এক জরুরি বৈঠকে ছোট পর্দার সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতারা এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীদের আগ্রহ বিবেচনায় নিয়ে সরকার ও অন্তঃসংগঠনের ছয়টি শর্ত মেনে ফিরছে টিভি নাটক।
নিজ দায়িত্বে রবিবার (১৭ মে) থেকে যে কেউ শুটিংয়ে অংশ নিতে পারবেন। তবে অবশ্যই ছয়টি শর্ত মেনে চলতে হবে। সেগুলো হলো-
১। আন্তঃসংগঠনের পক্ষ থেকে করোনাকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাইডলাইন অনুসরণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকতে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। শুটিং বিষয়ক স্বাস্থ্যবিধির তথ্যাবলি স্ব স্ব সংগঠন থেকে সংগ্রহ করে সেই নিয়মে শুটিং করতে হবে।
২। লকডাউনের সময় সরকারি সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমতি সংগ্রহ করে শুটিং করতে হবে। শিল্পী, কলাকুশলীরা শুটিং সংশ্লিষ্ট যে কোনও ধরনের কাজ নিজ দায়িত্বে সম্পন্ন করবেন। এর সাথে আন্তঃসংগঠন বা স্ব স্ব সংগঠন কোনোভাবেই সম্পৃক্ত থাকবে না।
৩। শুটিং করতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব হলে, অথবা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে আন্তঃসংগঠন বা স্ব স্ব সংগঠন কোনও দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করবেন না। সম্পূর্ণ দায় বর্তাবে সংশ্লিষ্ট প্রযোজক, পরিচালক, অভিনয়শিল্পী, চিত্রগ্রাহক, রূপসজ্জাশিল্পীসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটের সবার।
৪। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি এবং আন্তঃসংগঠনের সিদ্ধান্ত ভালোভাবে অবগত হয়ে যারা শুটিং করতে আগ্রহী সেই শিল্পী, কলাকুশলী, প্রযোজক স্ব স্ব সংগঠনের সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক বরাবর এই মর্মে ক্ষুদে-বার্তা অথবা ইমেইল পাঠাবেন। যেখানে লিখতে হবে, ‘আমি দুর্যোগকালীন সময়ে আন্তঃসংগঠনের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হয়ে নিজ দায়িত্বে স্বেচ্ছায় শুটিংয়ে অংশগ্রহণ করছি। আমি সংকটে নিপতিত হলে এর দায়ভার সম্পূর্ণভাবে আমার।’
৫। সরকার পরিস্থিতি বিবেচনায় যে ঘোষণা দেবেন সকলকে সেটা মেনে নিয়ে কাজ করতে হবে। অথবা কাজ বন্ধ রাখার পরিস্থিতি উদ্ভব হলে তা বন্ধ করতে হবে।
৬। আন্তঃসংগঠন এই শিথিল সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় যে কোনও সময় বাতিল করতে পারে। আন্তঃসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের যৌথ ভাষ্যে, ‘সকলের কাজ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি আমরা। পাশাপাশি এও মনে করি সবকিছুর ঊর্ধ্বে জীবন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।