Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ছাত্র ইউনিয়ন নেতাকে পুলিশ কর্তৃক পেটানোর অভিযোগ, ম্যাজিস্ট্রেট বললেন ‘হাতাহাতি’

সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০২০, ৬:০৫ পিএম

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসম্পাদক আবদুল করিমকে পুলিশ মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ঘটনার পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে দুইশ টাকা জরিমানা করেন ম্যাজিস্ট্রেট। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুরে সখিপুর উপজেলার কচুয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে শনিবার (১৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সখিপুরের কচুয়া বাজারে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।আবদুল করিম বলেন, ´করোনার এই সংকটে আমার নিজের এলাকার মানুষকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা ও করোনা প্রতিরোধে সচেতন করে যাচ্ছি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কচুয়া বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সচেতনা বৃদ্ধির জন্য সতর্কবার্তা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ঝুলানোর সময় সখিপুর থানার এএসআই কবির হোসেন আমাকে বাধা দেয়। এসময় অকথ্যভাষায় গালি দিয়ে আমার মোটরসাইকেলের চাবি দিতে বলে। প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এগিয়ে এসে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চায়। এসময় আমার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে জরিমানা হিসেবে এক লাখ টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে আমাকে দুইশ টাকা জরিমানা করা হয়।´

সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মো. আমীর হোসেন বলেন, ´ঘটনাটি আমার জানা নেই। মোবাইল কোর্টের কোনও দায় পুলিশের ওপর আসবে না। দায়িত্বটা ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর থাকে।´
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন,´নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান বাদে সব দোকান বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী নির্দেশনা অমান্য করে কচুয়া বাজারে দোকান খোলা রাখে। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। আমি গাড়িতে থাকা অবস্থায় এক পুলিশ সদস্য গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে কাপড়ের দোকানগুলোর চাবি সংগ্রহ করছিল। একপর্যায়ে আবদুল করিমের বড় ভাইয়ের কাপড়ের দোকানের চাবি চাইলে পুলিশ সদস্য ও আবদুল করিমের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।´

তিনি আরও বলেন, ´পরে আমি গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে তাদের বিরোধ বন্ধ করি। সামাজিক দূরত্ব নিয়ে কাজ করার সময় আবদুল করিমকে বাধা দেওয়া হয়নি। এসময় তার মোটরসাইকেলের কাগজ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স চাওয়া হলে তিনি কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হন। তখন তার সঙ্গে হেলমেটও ছিল না। তিনি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কাপড়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ পরিপত্রে বলা হয়েছে- অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় তাকে ১৮৮ ধারায় দুইশ টাকা জরিমানা করা হয়।´

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, ´এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলা হবে। একজন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বটা বেশি। তারা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।´ বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শাখাওয়াত ফাহাদ ও সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম এক যৌথ বিবৃতি দিয়ে ঘটনায় প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।



 

Show all comments
  • md monir hossain ১৬ মে, ২০২০, ৯:৫১ পিএম says : 0
    ম্যাজিস্টেট মিথ্যা বলছে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ