Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

তাজা বাতাস ও রোদেই করোনা থেকে মুক্তি দাবি বিজ্ঞানীদের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

তাজা বাতাস এবং সূর্যের রোদ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে। বুধবার সংসদে এই তথ্য জানিয়েছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা।
বুধবার ব্রিটিশ এমপি ক্রিস ক্লার্কসন উদ্বেগ প্রকাশ করে সংসদে জানান যে, তার এলাকার স্থানীয় পার্কগুলো জনাকীর্ণ হয়ে গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যে জরুরী অবস্থা মোকাবেলায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইসরি গ্রুপের (সেজে) সদস্য অধ্যাপক অ্যালান পেন সংসদে বলেন, ‘সূর্যালোক এবং তাজা বাতাস করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ করতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞান বলছে যে সূর্যের আলোতে বাইরে থাকা, ও তাজা বাতাস সেবন, উভয়ই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে প্রতিরক্ষা দিতে পারে।’

প্রফেসর পেন এমপিদের জানান যে, এই ভাইরাস সংক্রমণ মূলত তিন ভাবে ঘটে। এটি এয়ার ড্রপলেট থেকে আসে, যার কারণে দুটি মিটার দূরত্ব রাখার নিয়ম করা হয়েছে। কারণ ড্রপলেটগুলো বাতাসে দুই মিটারের বেশি ভাসতে পারে না। এটি এরোসোলের মাধ্যমে আসতে পারে। এর মাধ্যমে এটি বেশি সময় ভাসতে পারে কিন্তু, এতে ভাইরাস বেশিক্ষণ বাঁচতে পারে না। এবং সর্বশেষ এটি বস্তুর সংস্পর্শের মাধ্যমে আসতে পারে। তিনি আরও জানান, তিনি এবং তার সহকর্মীরা বিশ্বাস করেন যে বাইরে থাকাটা ‘সর্বনিম্ন ঝুঁকির’ কার্যকলাপগুলোর মধ্যে একটি।

যুক্তরাজ্যে গত বুধবার থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে। এর ফলে ব্রিটিশরা দুই মিটার দূরত্ব বজায় রেখে যতক্ষণ খুশি বাইরে সময় কাটাতে পারবেন। দেশটিতে লকডাউন ব্যবস্থা শিথিল করার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে পার্ক, গল্ফ কোর্স ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হয়। সূত্র : দ্য ইউএস সান।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৬ মে, ২০২০, ১১:২৫ পিএম says : 0
    এই সংবাদটা কিছুটা হলেও আশার আলো দেখিয়েছে কারন এখন মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘরের বাহিরে চলাফেরা করতে পারবে। এই সামান্য বিষয়টা জানতে আমাদের বৈজ্ঞানিকদের কয়েক মাস লেগে গেছে এটাই সত্য। তবে আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ্‌ চাইলে এই সামান্য বিষয়টা আমরা আরো আগে জানতে পারতাম আর বাহিরে ঘুরা ফেরা করতে শুরু করতাম যানাকি প্রকৃতির জন্যে অনুকুল ছিল না। এখন আল্লাহ্‌ মনে করেছেন সেই সময় অতিবাহিত কাজেই এখন আমরা ঘরের বাহিরে যেতে পারবো। কানাডাতেও অনেকদিন আগেই আমাদেরকে বাহিরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাটা চলা (আমরা বলে থাকি মর্নিং বা ইভেনিং ওয়াক) করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। এখন আবার কিছুদিন আগেই অটোয়ার পার্কগুলোকে কর্পোরেশন থেকে খুলে দেয়া হয়েছে এবং আমাদেরকে বলা হয়েছে আমরা যেন পার্কের বেঞ্চে না বসি এবং সেখানে সময় কাটাতে চাইলে বসার সরঞ্জাম যেন সাথে নিয়ে যাই এবং সেভাবেই বসি। আমি আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে মানে আমি আমার স্ত্রী ও আমার ৪ মেয়ে ও তাদের পরিবার সহ একত্রে পার্কে গিয়ে সকল আয়োজন মেনে ঈদের দিনে একত্রে খাওয়া দাওয়া করবো ও সময় কাটাবো এটাই পরিকল্পনা করেছি। আমার মেয়ে যিনি কানাডিয়ান সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তা তিনি অটোয়া কর্পোরেশনের সাথে যোগাযোগ করে ব্যাবস্থা নিবেন। এখন দেখতে পাচ্ছি এটা অন্যান্য দেশেও চালু হতে যাচ্ছে। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেদেরকে মানিয়ে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ