Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে অনিয়ন্ত্রিত করোনার বিস্তৃতি

ফয়সাল আমীন : | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২০, ১২:০৪ এএম

করোনা সিলেটকে করছে না করুনা। করোনার থাবায় অন্ধকার হয়ে উঠছে সিলেটের আলো-বাতাস। মানুষের নিয়ন্ত্রণহীন জীবন যাপনে অনিয়ন্ত্রিত আকারে করোনার এ বিস্তৃতির শেষ গন্তব্য নিয়ে দেখা দিয়েছে অজানা আতঙ্ক। তারপরও মানুষ যেন নির্লিপ্ত।
নগরীতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ও শারীরিক দূরত্ব বজায় না মেনে চলছে প্রতিদিন কেনাবেচা। হাতে গোনা কয়েকটি মসজিদ ছাড়া কোথাও মানা হচ্ছে না করোনা সতর্কতার বিধি বিধান। ব্যাংকগুলোতে নেই নিরাপদ দূরত্ব রক্ষার উদ্যোগ। হাট বাজারে খোলা ময়দানে নেয়ার নির্দেশনা থাকলেও সেখানে নেই বাস্তবতা। হাটবাজারে লোক সমাগমে নেই কোন ভয়ভীতি। সর্তক চলাফেরার বদলে অসর্তক চলাফেরায় বাড়ছে আগ্রহ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকার সাধারণ মানুষকে নিরাপদ ও ভাবনাহীন রাখতে এখন পর্যন্ত পালন করেনি কোন ভূমিকা। কেবল মাত্র সরকারি ত্রাণ কোন মতে বিতরণ করেই যেন কর্তব্য শেষ তাদের। এতে করে জনগণ নিজ নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধি থাকতেও অভিভাবকহীন।
চলমান অবস্থার মধ্য দিয়ে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনা রোগীর সংখ্যা ২৮জন বেড়েছে। গত বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সংখ্যাটি ছিলো ৩১৬, সে সংখ্যা এখন গতকাল বৃহস্পতিবারে ৩৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, বুধবারে ২৮জনসহ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভাগে ৩৪৪ জন হয়েছেন আক্রান্ত। এর মধ্যে সিলেট ১০৩, মৌলভীবাজারে ৫৬ সুনামগঞ্জে ৬৭ ও হবিগঞ্জে ১১৮ জন। এর মধ্যে ১৩০ জন আছেন হাসপাতালে ভর্তি। সিলেটে ৩১, মৌলভীবাজারে ১, সুনামগঞ্জে ৩৪ ও হবিগঞ্জে ৬৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা জটের কারণে গত ৫ দিন থেকে সিলেট বিভাগের ৪ জেলার সন্দেহজনকদের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরি এন্ড রেফারেল সেন্টারে পাঠানো হয়।
গত বুধবার বিকেল ৩টায় ঢাকার সেই ল্যাবরেটরি ই-মেইলের মাধ্যমে জানায়, সিলেট বিভাগের ২২ জনের শরীরে পাওয়া গেছে করোনার অস্তিত্ব। এর মধ্যে সিলেটের ৫, সুনামগঞ্জের ১২ ও হবিগঞ্জ জেলার ৫ জন। তবে এর মধ্যে ২ জন দ্বিতীয়বারের টেস্টে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন, তাই এ তালিকায় সিলেটে নতুন আক্রান্ত ২০ জন ধরা হচ্ছে।
সিলেট ওসমানী হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, ওসমানীর পিসিআর ল্যাবে গত বুধবার পরীক্ষা করা হয় ৯৪ জনের নমুনা। পরীক্ষায় নতুন করে আরো পজেটিভ আসে ৮টি রিপোর্ট। এ ৮জনই মৌলভীবাজারের। রিপোর্ট নেগেটিভ হয় ৮৬জনের। তবে বিভাগে করোনা জয়ী ৬২ জন হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরেছেন ইতোমধ্যে। এর মধ্যে সিলেটে ১৩, হবিগঞ্জে ৩৪ ও সুনামগঞ্জে ১৫ জন।
এছাড়া গত ১০ মার্চ থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত বিভাগে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে ১০৭১৮ জনকে এবং ৯৪১৬ জনকে দেয়া হয়েছে ছাড়পত্র। বর্তমানে ১৩০২ জনহোম কোয়ারেন্টিনে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে সিলেটে ৩১০, হবিগঞ্জে ২৩৩, মৌলভীবাজারে ৩২৬ ও সুনামগঞ্জে ৪৩৩ জন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিভাগের ২৩৩ জন কোয়ারেন্টিনরত আছেন হাসপাতালে। এর মধ্যে সিলেটে ৭৭, হবিগঞ্জে ১১৯, মৌলভীবাজারে ১২ ও সুনামগঞ্জে ২৫জন। তারা স্থানীয় জেলা ও উপজেলা হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন। এর মধ্যে সিলেটে ৩, মৌলভীবাজারে ২ ও হবিগঞ্জে ১ জন। তবে এখণ পর্যন্ত করোনায় কোনো মৃত্যু নেই সুনামগঞ্জে ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ