Inqilab Logo

শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪, ০৭ আষাঢ় ১৪৩১, ১৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পাট রপ্তানি আয় বাড়লেও অর্জিত হয়নি লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট রিপোর্ট : ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৯১ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। তবে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জুলাই মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৮৬ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এই খাতের রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আলোচ্য সময় আয় হয়েছে ৯১ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ কম। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১১ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কু-ুলী রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। সমাপ্ত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কু-ুলী রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ কোটি মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ কোটি মার্কিন ডলার। ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানিতে ১১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই সময়ে আয় হয়েছে ১৭ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৪ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে আগের অর্থবছরের তুলনায় এই খাতের আয় ৫৫ শতাংশ ২১ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১১ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাটের সুতো ও কু-ুলী রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ কম। একইসঙ্গে আগের অর্থবছরের তুলনায় এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ১ দশমিক ১৬ শতাংশ কমেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পাটের সুতো ও কু-ুলী রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। ইপিবির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে ১৭ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এর বিপরীতে আয় হয়েছে ১২ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ দশমিক ৯২ শতাংশ কম। একইসঙ্গে আগের অর্থবছরের তুলনায় এই খাতের আয় ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ কমেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এতে আরও জানানো হয়েছে, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে পাটের অন্যান্য দ্রব্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৬ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ কম। এর আগের অর্থবছরের তুলনায় এই খাতের আয় শূন্য দশমিক ০৬ শতাংশ কমেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পাটের অন্যান্য দ্রব্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৬ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাট রপ্তানি আয় বাড়লেও অর্জিত হয়নি লক্ষ্যমাত্রা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ