পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কর্মসৃজন কার্যক্রম নামে আরো দুই হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশের করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ কর্মহীন পরিবারের মাঝে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণের উদ্বোধনকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।
করোনার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ নিয়ে দেশে ১৮টি প্যাকেজ ঘোষণা করা হলো। ১৮তম প্যাকেজে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনকে ৫০০ কোটি করে সর্বমোট ২০০০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়া হবে। এখন পর্যন্ত ঘোষিত এসব প্যাকেজে টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখন প্রথমবার সরকারে আসি, তখন আমাদের যুবক শ্রেণির যেন বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে না হয়, সেজন্য একটা বিশেষ ব্যাংক করে দিয়েছিলাম; কর্মসংস্থান ব্যাংক। সেটার কার্যক্রম এখনও আছে, তা হল বিনা জামানতে একজন যুবক- তিনি শিক্ষিতই হোন, আর অশিক্ষিত হোন; বেকার হলেই জামানত ছাড়াই স্বল্পসুদে ২ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। এই ঋণ নিয়ে নিজেরা ব্যবসা করতে পারেন কিংবা বন্ধুবান্ধব নিয়ে যৌথভাবে ব্যবসাবাণিজ্য করতে পারবেন। সেই সুযোগ সৃষ্টির জন্য আমি কর্মসংস্থান ব্যাংক সৃষ্টি করেছি।
প্রধানমন্ত্রী জানান, এই ব্যাংকের ঋণ আরো বৃদ্ধি করার জন্য সরকার বিশেষ আমানত দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের যুবক শ্রেণি বেকার হয়ে যাতে ঘুরে না বেড়াতে হয়। তারা যেন ঋণ নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারে।
এসময় প্রবাসীদের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যারা প্রবাসী রয়েছেন, তারাই কিন্তু আমাদের রেমিট্যান্স পাঠান। তারা যেন জমিজমা ও ঘরবাড়ি বিক্রি না করে ঋণ নিয়ে বাইরে যেতে পারেন সেজন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক নামে আরেকটি ব্যাংক আমি প্রতিষ্ঠা করি। সেই ব্যাংকেও আমরা আরও টাকা দিবো। এর আগে ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম, আরও অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা দিবো।
এর কারণ ব্যাখ্যায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি যে এখন প্রবাসে কাজের পরিধিটা সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। সেখানে বহু মানুষ কাজ হারাচ্ছেন। অনেকেই দেশে ফিরে আসছেন। তারা আমার দেশের নাগরিক। তারা কোথাও কষ্ট করুক তা আমরা চাই না। তারা ফিরে আসতে চাইলে ফিরে আসুক। কিন্তু এখানে এসে তারা যেন কিছু কাজ করে খেতে পারেন, তাদের কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে সেই ব্যবস্থা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী পল্লী সংস্থান ব্যাংকের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনের জন্য আমরা ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সেখানেও আমরা একটা ব্যাংক তৈরি করে দিয়েছি। এটা (কার্যক্রম) প্রকল্পের মাধ্যমে চলছে। আর ভবিষ্যতে যাতে প্রকল্পে না চলে, যারা এখানে সমিতি বা সমবায় করবে। আর সমবায় করে নিজের ব্যবসা নিজে চালাতে পারবে। প্রকল্প থেকে তারা ধীরে ধীরে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। তাদের সঞ্চয় ব্যাংকে থাকবে। ব্যাংকের মালিক তারা ওখান থেকে ঋণ নিয়ে তারা ব্যবসাবাণিজ্য করবে। সেকথা চিন্তা করেই আমরা এই ব্যাংকটা করেছি।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ইতিমধ্যে অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য ১৭টি প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমনন্ত্রী। আজকে ১৮তম প্যাকেজে সেটা হলো পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনকে আপনি ৫০০ কোটি করে সর্বমোট ২০০০ কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। তাতে সর্বমোট ১ লাখ ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকা যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।