Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিন ব্যাংক ও পিকেএসএফের মাধ্যমে ২ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০২০, ৩:০১ পিএম

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কর্মসৃজন কার্যক্রম নামে আরো দুই হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশের করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ কর্মহীন পরিবারের মাঝে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণের উদ্বোধনকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।

করোনার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ নিয়ে দেশে ১৮টি প্যাকেজ ঘোষণা করা হলো। ১৮তম প্যাকেজে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনকে ৫০০ কোটি করে সর্বমোট ২০০০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়া হবে। এখন পর্যন্ত ঘোষিত এসব প্যাকেজে টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখন প্রথমবার সরকারে আসি, তখন আমাদের যুবক শ্রেণির যেন বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে না হয়, সেজন্য একটা বিশেষ ব্যাংক করে দিয়েছিলাম; কর্মসংস্থান ব্যাংক। সেটার কার্যক্রম এখনও আছে, তা হল বিনা জামানতে একজন যুবক- তিনি শিক্ষিতই হোন, আর অশিক্ষিত হোন; বেকার হলেই জামানত ছাড়াই স্বল্পসুদে ২ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। এই ঋণ নিয়ে নিজেরা ব্যবসা করতে পারেন কিংবা বন্ধুবান্ধব নিয়ে যৌথভাবে ব্যবসাবাণিজ্য করতে পারবেন। সেই সুযোগ সৃষ্টির জন্য আমি কর্মসংস্থান ব্যাংক সৃষ্টি করেছি।

প্রধানমন্ত্রী জানান, এই ব্যাংকের ঋণ আরো বৃদ্ধি করার জন্য সরকার বিশেষ আমানত দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের যুবক শ্রেণি বেকার হয়ে যাতে ঘুরে না বেড়াতে হয়। তারা যেন ঋণ নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারে।

এসময় প্রবাসীদের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যারা প্রবাসী রয়েছেন, তারাই কিন্তু আমাদের রেমিট্যান্স পাঠান। তারা যেন জমিজমা ও ঘরবাড়ি বিক্রি না করে ঋণ নিয়ে বাইরে যেতে পারেন সেজন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক নামে আরেকটি ব্যাংক আমি প্রতিষ্ঠা করি। সেই ব্যাংকেও আমরা আরও টাকা দিবো। এর আগে ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম, আরও অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা দিবো।

এর কারণ ব্যাখ্যায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি যে এখন প্রবাসে কাজের পরিধিটা সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। সেখানে বহু মানুষ কাজ হারাচ্ছেন। অনেকেই দেশে ফিরে আসছেন। তারা আমার দেশের নাগরিক। তারা কোথাও কষ্ট করুক তা আমরা চাই না। তারা ফিরে আসতে চাইলে ফিরে আসুক। কিন্তু এখানে এসে তারা যেন কিছু কাজ করে খেতে পারেন, তাদের কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে সেই ব্যবস্থা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী পল্লী সংস্থান ব্যাংকের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনের জন্য আমরা ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সেখানেও আমরা একটা ব্যাংক তৈরি করে দিয়েছি। এটা (কার্যক্রম) প্রকল্পের মাধ্যমে চলছে। আর ভবিষ্যতে যাতে প্রকল্পে না চলে, যারা এখানে সমিতি বা সমবায় করবে। আর সমবায় করে নিজের ব্যবসা নিজে চালাতে পারবে। প্রকল্প থেকে তারা ধীরে ধীরে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। তাদের সঞ্চয় ব্যাংকে থাকবে। ব্যাংকের মালিক তারা ওখান থেকে ঋণ নিয়ে তারা ব্যবসাবাণিজ্য করবে। সেকথা চিন্তা করেই আমরা এই ব্যাংকটা করেছি।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ইতিমধ্যে অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য ১৭টি প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমনন্ত্রী। আজকে ১৮তম প্যাকেজে সেটা হলো পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনকে আপনি ৫০০ কোটি করে সর্বমোট ২০০০ কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। তাতে সর্বমোট ১ লাখ ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকা যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।



 

Show all comments
  • তৌহিদুল আমল পাভেল ১৫ মে, ২০২০, ৪:২২ এএম says : 0
    প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে কিছু বলতে চাই। এই সহায়তার নাম প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে বদলে,  বাংলাদেশ ব্যাংকের শোরুমে সাজানো সোনার হরিণ বলতে আপত্তি নেই। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী আদেশ দিবেন, এরপরে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রজ্ঞাপন জারি করে মিডিয়াতে নিউজ চলতেই থাকবে,  সবশেষে আমরা কাংজ্ঞালিরা ফকির মিসকিন ভিক্ষুকের মতো অনেক বিশাল আসা নিয়ে ব্যাংকে যোগাযোগ করি, কারণ আমাদের মা সন্তানদের কষ্ট থেকে রক্ষা পেতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন,  আর ঠিক তখনি নিজের আত্মসম্মানে লাথিটা মারে  ব্যাংক বলে নাই নাই যাও মাফকরো । দুঃখ আমার একটাই, আমার মা স্তন ক্যান্সার আক্রান্ত, প্রতি মাসে কেমোথেরাপি ঔষধ ফুড সাপ্লিমেন্ট এইসব মিলিয়ে প্রায় ১লক্ষ্য টাকা খরচ হয়, চেষ্টা করি আমার জীবনের শেষ সম্বল আমার মাকে সুস্থ রাখার। কিন্তু এই মুহুর্তে আমি হেল্পলেস । কি আর বলবো ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ