বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আগামীকাল পহেলা জৈষ্ঠ্য। শুরু হচ্ছে মধুমাস। গাছে গাছে থোকায় থোকায় কাঁচা পাকা আম লিচু জাম জামরুল খেজুরের দুলনি মন মাতানো সৌরভ আর রাধাচুড়া কৃষ্ণচুড়া গগনচুড়ার বর্ণিল আবির ছড়ানো জানান দিচ্ছে মধুমাসের। এ মাসে সর্বত্র থাকে রসালো শাঁসালো মধুফলে ভরা। তাই মধুমাস হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। এবার মাসটি এসেছে ভিন্ন মাত্রা নিয়ে। মহামারী করোনাভাইরাসের আতংক চারিদিকে। যার প্রভাব পড়েছে আম বাগানেও। গাছে গাছে প্রচুর আম লিচু থাকলেও তা ভোক্তাদের কাছে তুলে দেয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। চারিদিকে মহামারী আতংকের মাঝে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ রহমত আর কুদরতে ভরা রসালো শাঁসালো ফল ফলারী চলে এসেছে বাজারে।
বেড়েছে তাপমাত্রা। মানুষ পশু পাখী হাঁস ফাঁস করছে। খরতাপের তৃষ্ণা আর রোজাদারদের প্রশান্তির জন্য আল্লাহপাক এ সময় দিয়েছেন তরমুজ আম জাম লিচু কাঠালসহ রকমারী ফল। চৈত্র বৈশাখে চলে আসে তরমুজ, বাঙ্গি, বেল, পাকা পেপে। আর তা পরিপূর্নতা লাভ করে জৈষ্ঠ্যে এসে। কারন এ সময় সর্বত্র নজরে পড়ে ফলের রাজা আম লিচু বাঙ্গি জাম জামরুল তালসাঁস খেজুর আর কাঠাল। আর সেজন্য জৈষ্ঠ্যকে মধুমাস হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে। অন্যকোন মাসে এত ফল ফলারীর অধিক্য নজরে পড়েনা। যদিও কেউ কেউ পান্ডিত্য জাহির করার জন্য জৈষ্ঠ্য নয় চৈত্রকে মধুমাস বলে হৈ চৈ করেন। মধুমাস যাত্রা শুরু করল সবুজ গোলাপী আভার লিচু নিয়ে। যদিও এগুলো তেমন রসালো কিংবা শাঁসালো নয়। ক্ষনিকের অতিথি হিসাবে রসালো শাঁসালো লিচু আসতে আরো কটাদিন দেরী আছে। এখন হাটে বাজারে ছড়াছড়ি কাঁচা আমের। জৈষ্ঠের শুরুতে বৈশাখের শেষ দিকে এসে ঝড়বৃষ্টি ও শিলা বৃষ্টি দাপট দেখানোয় প্রচুর আম লিচু ঝরে পড়েছে। এত আম ঝরেছে তা কেনার মত লোক নেই।
এধুমাস শুরু হলেও এই রসালো শাঁসালো ফল আর কটাদিনের মধ্যে আম রসিকদের কাছে চলে আসবে। মধুমাস শুরু হয়েছে বিভিন্ন ধরনের গুটি আম দিয়ে। আর বনেদি জাতের মধ্যে এসেছে গুটি গোপাল। ক’দিনের মধ্যে চলে আসবে গোপাল, খিরসা পাতি, রানী পছন্দ, মোহনভোগ আর একটু ভাব নিয়ে চলা ল্যাংড়া। নামে ল্যাংড়া হলেও এর কদরের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। এর মাঝে চলে আসবে বিভিন্ন নাম ও স্বাদের আম। আম রাজ্যের নাজির উজির প্রজাদের আগমন শেষে আসবে আমের মহারাজা ফজলী। গায়ে গতরে এর আকারের কারনে নামের প্রতি সুবিচার রয়েছে। শেষে আসে আশ্বিনা।
লকডাউন অবস্থার কারনে এখনো বাজারজাত করনের প্রস্তুতি নিতে পারেনি আম ব্যবসায়ীরা। বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলে। বিশেষ করে চাপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগায় আমের বানিজ্য হয় কয়েক হাজার কোটি টাকা। এর সঙ্গে বিভিন্নভাবে জড়িত থাকে লাখ তিনেক মানুষ। সবাই রয়েছে অনিশ্চয়তায়। প্রত্যাশা শিঘ্রই এ মহামারী কেটে আসবে স্বাভাবিকতা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।