পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে করোনাভাইরাসে যেভাবে আক্রান্ত এবং মারা যাচ্ছে তার তুলনায় আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে করোনাভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়াদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে সরাসরি নগদ অর্থ প্রেরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় আহত মুক্তিযোদ্ধা, নির্যাতিত মা-বোনদের সহযোগিতা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশই এ অবস্থায় এত সহজে কেউ ঐক্যবদ্ধ করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশে অগ্রগতি থেমে গিয়েছিল। এরপর আমরা ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসার পর আবার বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি শুরু হয়।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্বভার যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিয়েছিলেন তখন কোনো সঞ্চয় ছিল না, ব্যাংকে কোনো জামানতও ছিল না। বঙ্গবন্ধু মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছিলেন। এমন কিছু ছিল না, যা রিলিফে দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশে তখন মঙ্গা থাকে না, দরিদ্র থাকে না, এটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।
´বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। প্রবৃদ্ধি ৮.১ অর্জন করেছিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা যখন আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি এমন সময় এমন একটি অদৃশ্য শক্তির প্রভাবের আঘাত, যার ফলে সমগ্র বিশ্ব একেবারে থমকে গেছে। সারা বিশ্ব অর্থনৈতিকভাবে আক্রান্ত।´
´পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে যেখানে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। এই যে একটি অদৃশ্য শক্তির হঠাৎ আক্রমণ ও এর ফলে কিন্তু সবাই বিপর্যস্ত। আমাদের ভূখণ্ড ছোট কিন্তু জনসংখ্যা বেশি ।তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অর্থনীতি সচল রাখা উচিত। এ জন্য আমাদের রয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। অন্যান্য দেশে যেভাবে মৃত্যু কিংবা আতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে এবং মারা গেছেন এর তুলনায় আমরা কিন্তু অনেক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছি´, বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবনে প্রয়োজনটা অনেক বেশি। মানুষদের ক্ষুধার জ্বালাটা কিন্তু আমরা বুঝি। এ জন্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এমন একটি অদৃশ্য শক্তি মোকাবিলা কিন্তু কোনো দেশই পারছে না। কত শক্তিশালী দেশকে আমরা দেখেছি, এই করোনাভাইরাস শক্তির কাছে সারেন্ডার করতে হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।