পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) করোনা ইউনিটে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। চালু হওয়ার পর ১১ দিনে করোনা ইউনিটে মারা গেঠেন ১০৩ জন রোগী। করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার দুই নারীসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনাভাইরাস পজেটিভ একজন পুরুষের। আর অন্যরা করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইবনে সিনা হাসপাতালের চিকিৎসক মেজর (অব.) অধ্যাপক ডা. আবুল মুকারিমের (৬৫) মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর একদিন আগে থেকেই তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ইবনে সিনার এক কর্মকর্তা জানান, তিনি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের প্রধান ছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের কর্তব্যরত ওয়ার্ড মাষ্টার রিয়াজ উদ্দিন জানান, গত ২ মে থেকে করোনা ইউনিটে পুরোদমে করোনা চিকিৎসা চালু করা হয়। এরপর থেকে পরবর্তী ১১ দিনে করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন ৬২০ জন রোগী। এদের মধ্যে গতকাল দুপুর পর্যন্ত ১০৩ জন রোগী মারা গেছেন। রাজধানীর অন্যান্য হাসপাতালে সেবা বঞ্চিত হওয়া রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে এখানে ভর্তি করা হচ্ছে বলে মৃত্যুর হার বেশি। যাদের মধ্যে করোনা পজেটিভ ছিলো ২১ জন। বাকি রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এর বাইরে সাধারণ রোগে আরও কিছু রোগী মারা গেছেন বলে তিনি জানান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, করোনা রোগীদের পাশাপাশি করোনা সাসপেকটেড রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অনেক হাসপাতাল থেকে করোনা পজেটিভ রোগীদের পাশাপাশি করোনা সন্দেহ রোগীদের এখানে পাঠানো হলে ভর্তি করা হচ্ছে। অনেকেই এখানে আসার পরপরই মারা যাচ্ছে। চিকিৎসকদেরও কিছু করার থাকছে না। আর এ সব কারনে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা ইউনিটে কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগী ছাড়া উপসর্গ আছে এমন রোগী, নিউরো সার্জারি, অর্থোপেডিক্স, শিশু বিভাগের রোগীরাও চিকিৎসা পাচ্ছেন। এমনকি করোনা আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা নারীদের চিকিৎসা দেয়া হয়। তাই অনেক সাধারণ রোগী আছে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে শেষ মুহুর্তে ঢামেকে আসেন। যখন আসে তখন চিকিৎসকদের আর কিছু করার থাকে না।
এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমন দাবি করলেও করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী, রোগীর স্বজন, মৃত রোগীর স্বজনরা চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ করেন। অভিযোগ রয়েছে, গুরুতর অসুস্থ অনেক রোগী সময়মতো সেবা পাননা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।