পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার মধ্যেই রাজধানীর বিপণিবিতান গুলোর কয়েকটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ১০ মে থেকে খুলেছে। খোলার চতুর্থদিন গতকাল অতিবাহিত হলেও বেচাকেনা একেবারেই কম। মহল্লা ও অলিগলির পাশে ছোট ছোট মার্কেট বিপনিবিতানগুলোতে কিছু বেচাকেনা হলেও বড় মার্কেটগুলোয় ক্রেতা না থাকায় প্রতিদিনের দোকান খরচও তুলতে পারছেন না অনেক ব্যবসায়ী। এমনকি ঈদুল ফিতরের আগে রমজান মাসে টুপি-পাঞ্জাবীর চাহিদা সর্বোচ্চ। এবার রমজানে পাঞ্জাবী-টুপির বাজারও মন্দা।
কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে অল্প পরিসরে ১০ মে থেকে মার্কেট খুলেছি। মার্কেট খোলার চতুর্থদিন চললেও বেচাকেনা জমে ওঠেনি। মার্কেটে দর্শনার্থী এলেও ক্রেতা নেই বললেই চলে। সারাদিন ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করছি; দিন শেষে বেচাকেনা হতাশ করছে আমাদের। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা মার্কেটমুখী হচ্ছেন না। এভাবে চললে মার্কেট বন্ধ করে দিতে হবে।
শনিরআখড়ার আরএসের এক ব্যবসায়ী জানান, প্রতিবছর ১৫ রোজার পর দোকানে ক্রেতা চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত কর্মচারী নিয়োগ দিতে হয়। এই সময়ে দোকানের ৮০ শতাংশ কাপড় বিক্রি হয়ে যেত। এ বছর দিনে দু-তিন পিস করে কাপড় বিক্রি হচ্ছে। এতে দোকানের খরচটাও উঠছে না। আমাদের ব্যবসা ঈদনির্ভর। ঈদে ব্যবসা করে সারাবছরের ডাল সিজনগুলো ভর্তুকি দেই। তবে এ বছর কী করবো জানি না
একাধিক ব্যবসায়ী জানান, করোনার কারণে এবার প্রথাগত মার্কেটের বাইরে বিকল্প অনলাইন প্লাটফর্মে ঈদের পণ্য পাঞ্জাবী, টুপি আতর ও শাড়ি-থ্রি-পিচ বিক্রির তোড়জোড় চলছে। ফেসবুকে পণ্যে সম্পর্কে প্রচার করে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছেন। অনলাইন প্লাটফর্ম এখন বড় বাজার হিসাবে দেখা যাচ্ছে। ঘরে বসে ক্রেতা পণ্যের চাহিদা পাঠাচ্ছেন আর ঘরে বসে সেই পণ্য পাচ্ছেন ক্রেতা। যদিও ক্রেতার এতে দেখেশুনে ১০টা দেখে একটা পছন্দ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। তবুও এটাকে সাময়িক ভাবে মেনে নিচ্ছেন।
রাজধানীর একাধিক মার্কেট ঘুরে দেখা গেল আর সপ্তাহ দুয়েক পরই ঈদ কিন্তু রাজধানীর বাজারে ঈদেও তোড়জোড় নেই। করোনা শঙ্কার মধ্যে গত রবিবার সীমিত পরিসরে মার্কেট খোলে রাজধানীর সবচেয়ে বড় বিপণিবিতান বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউমার্কেট, বায়তুল মোকাররম ও চন্দ্রিমা মার্কেটসহ কয়েকশ মার্কেট বন্ধ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিবছর রাজধানীর সব মার্কেটেই ঈদের পাঞ্জাবী বিক্রি হয়। তরুণ প্রজন্মের কাছে ঈদে বেশি জনপ্রিয় নানা ধরনের পাঞ্জাবী। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট, চকবাজার, কাঁটাবন মসজিদ ও কাকরাইল মসজিদ এলাকা টুপির বড় বাজার। এসব জায়গায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে টুপি বিক্রি হয়। জালি, গোল, আড়ি, এসি, সাতে এবং চায়নাসহ বিভিন্ন ধরনের টুপি বাজারে বিক্রি হয়। রমজান মাস আসলেই টুপি কেনার হিড়িক পড়ে। কিন্তু এবার সেটাও নেই।
এলিফ্যান্ট রোডের সানরাইজ প্লাজা বন্ধ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করায় রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের সানরাইজ প্লাজা বন্ধ করে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। গতকাল বুধবার এলিফ্যান্ট রোডের মার্কেটটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
রমনা বিভাগের এডিসি এম আজিমুল হক জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা না থাকায় সানরাইজ মার্কেট বন্ধ করা হয়েছে। গত দু’দিন মার্কেট পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং স্প্রে টানেল বসানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। মার্কেট কর্তৃপক্ষ কথা দিয়েছিলেন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করবেন এবং স্প্রে টানেল বসাবেন। কিন্তু বুধবার ওই মার্কেট পরিদর্শনে গেলে সেখানে পূর্বের অবস্থা দেখা যায়। তাই করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে জননিরাপত্তায় সানরাইজ প্লাজা বন্ধ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, মার্কেট কর্তৃপক্ষ বা ব্যবসায়ীরা স্প্রে টানেল স্থাপন এবং সরকারের নির্দেশনা অনুসারে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করলে পুনরায় দোকান খুলতে পারবেন। উল্লেখ্য, করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সাধারণ ছুটিতেও ঈদকে সামনে রেখে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণসহ বেশ কিছু শর্তে সরকার গত ১০ মে থেকে বিপণীবিতান খোলার অনুমতি দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।