পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে জনসমাগম নিষিদ্ধের মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন সম্মানিত আলেমের জানাজায় বিপুল জনসমাগমের পর পেরিয়ে গেছে তিন সপ্তাহের বেশি সময়। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় তুলেছিলো এবং ঠাঁই করে নিয়েছিলো আন্তর্জাতিক নানা গণমাধ্যমেও।
গত ১৮ এপ্রিল সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে তার জানাজায় ওই সমাগমের জের ধরে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারও করে সরকার। ঘটনার পরপরই করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ রোধে জেলার সরাইলের পাঁচটি, আশুগঞ্জ উপজেলার দুটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার একটি গ্রামকে লকডাউন করে দেয়া হয়। এরপর দু সপ্তাহের লকডাউন ও কোয়ারেন্টিন শেষে জেলা প্রশাসন বলছে, ওই সব গ্রামে কারও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য মেলেনি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তারা গ্রামগুলো থেকে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়েছেন, তবে কারও করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়নি। ‘বিষয়টি আমাদের জন্য স্বস্তির। জানাজায় অনেক লোক জড়ো হওয়ার প্রেক্ষাপটে যেসব ব্যবস্থা প্রশাসন থেকে নেয়া হয়েছে সেটা কাজ করেছে। লকডাউনও সবাই মেনে চলেছে। অনেকে নিজে থেকেই কোয়ারেন্টিনে ছিল। ফলে সংক্রমণ বা এর বিস্তার হয়নি। আমরাও এখনো মনিটর করে যাচ্ছি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে মেডিকেল টিম কাজ করছে’।
সিভিল সার্জন বলেন, পুরো সরাইলে এ পর্যন্ত একজন করোনা পজিটিভ নারীকে পাওয়া গেছে যিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছিলেন।
যদিও সরাইল উপজেলার বেড়তলা গ্রামে আলেম যোবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজায় যোগ দিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। তখন পুলিশ জানিয়েছিল যে, স্থানীয় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানাজা আয়োজনের আগে সরকারি নির্দেশনা মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছিল।
কিন্তু পরে তা আর দেখা যায়নি বরং সরাইল ছাড়াও আশেপাশের অনেক জেলা, উপজেলা ও গ্রাম থেকে মি. আনসারীর অনুসারীরা এসে জানাজায় যোগ দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ পরে আটটি গ্রাম লকডাউনের ঘোষণা দেয়।
সরাইলের যে ইউনিয়নের বেশি গ্রাম লকডাউন করা হয়েছিলো সেই পানিশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দ্বীন ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, করোনায় সংক্রমিত হওয়ার কোনো উপসর্গ কারও মধ্যে না পাওয়ায় এখন আর লকডাউন সেখানে কার্যকর নেই।
‘আমার চারটা গ্রাম লকডাউন ছিল। অনেকের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে পজিটিভ কেউ নেই। জানাজার পর তিন সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। তাই লকডাউন আর নেই। তবে কারও মধ্যে উপসর্গ দেখা যায় কি-না সেদিকে আমরা খোঁজ রাখছি’। তিনি বলেন, উপসর্গ না দেখা দেয়ায় নতুন করে কারও পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার আছে বলে তারা মনে করছেন না।
তবে আইইডিসিআরের উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন বলেন, জানাজায় বিপুল জনসমাগমের পর সেখানে চারপাশের গ্রামগুলো লকডাউন করা, কোয়ারেন্টিনে রাখা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার সুফল পাওয়া গেছে। সেখানে এক জায়গায় অনেক সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। ‘তবে নরসিংদীতে আমরা অনেক রোগী পেয়েছি যাদের সাথে এর সম্পৃক্ততা ছিল। এটা ঠিক যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহামারী ঘনীভ‚ত হয়নি। তবে ছড়িয়েছে অন্যত্র, বিশেষ করে নরসিংদীতে’।
জনাব হোসেন বলেন, নরসিংদীতে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই মৃদু লক্ষণযুক্ত, যাদের অধিকাংশই সুস্থ হওয়ার পথে’। তার মতে ওই জানাজাকে কেন্দ্র করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিস্তারের যে আশঙ্কা ছিল সেটি আপাতত কেটে গেছে বলেই মনে করছেন তারা।
ওদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৭ জনের। সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে ঈদের আগে দোকানপাট না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সূত্র : বিবিসি বাংলা।
গত এপ্রিল মাসে কুয়েতে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা করে দেশটির সরকার। ওই সাধারণ ক্ষমায় প্রায় সাড়ে হাজার অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি কর্মী দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন করেছে। তারা দেশটির চারটি ক্যাম্পে অপেক্ষা করছেন। সাধারণ ক্ষমায় নিবন্ধনকৃত প্রবাসীদের বিমান টিকেট ও থাকা খাওয়া কুয়েত সরকার বহন করছে। পর্যায়ক্রমে ১৬, ১৭, ২১ ও ২২ মে কুয়েত থেকে বাকি অবৈধ কর্মীদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।