Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৭দিন পরেই লালপুরের বাজারে মিলবে পাকা আম

লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০২০, ৩:২০ পিএম

মধুমাস জ্যৈষ্ঠ সমাগত। আর মাত্র ৭দিন পরেই নাটোরের লালপুর উপজেলার প্রতিটি বাজারে পাওয়া যাবে সুস্বাদু পাকা আম। চলতি মৌসুমে লালপুর উপজেলায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমচাষী, ব্যবসায়ী ও উপজেলা কৃষি বিভাগ। এবছর গাছ থেকে ২০ মে আম ও ২১ মে থেকে লিচু পাড়ার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তবে আমের বাম্পার ফলন হলেও করোনার প্রাদুর্ভাবের কারনে এবছর আম বিক্রয় নিয়ে হতাশায় রয়েছেন উপজেলার আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৮শ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। এই সকল আম বাগান থেকে ২৭ হাজার ২শ মেক্ট্রিক টন আম উৎপাদন হবে। প্রতিটন আম ৪০হাজার টাকা হিসেবে প্রায় ১শ ১০ কোটি টাকার আম বিক্রয়ের লক্ষমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। ’
বুধবার (১৩ মে) সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন আম বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, বাগান গুলিতে থোকায় থোকায় সবুজ আম ধরে আছে। বাগানের গাছ গুলি আমের ভরে ডাল মাটিতে নুয়ে পড়েছে। ইতি মধ্যে বাগান গুলিতে পরির্চাজর কাজ শেষ করেছেন কৃষকরা, এখন শুধু গাছ থেকে আমা পাড়া ও বিক্রয়ের পালা।
এসময় কথা হয় আম চাষী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এবছর আমার বাগানে আমের বাম্পার ফলন হবে। তবে দেশ ব্যাপী প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় এবছর আম ঠিক মতো বিক্রয় করতে পারব কি না তাই নিয়ে হতাশায় রয়েছি।’
বিজয়পুর গ্রামের আমচাষী কামরুজ্জামান লাভলুর জানান, ‘তার ১০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির আমারে বাগান রয়েছে। এবছর তীব্রখরা ও মাঝখানে শিলাবৃষ্টি হলেও এবার আমারে বাম্পার ফলন হবে বলে মনে করছেন তিনি। তবে উৎপাদিত আম ঠিকমতো বিক্রয় করতে না পারলে এবছর তাকে লোকসান গুনতে হবে বলে জানান তিনি।’
এব্যাপারে লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম ইনকিলাব কে জানান, ‘চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় লালপুর উপজেলায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিক্রয় বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমচাষী ও ব্যবসায়ীদের হতাশ হওয়ার কারন নেই কৃষকদের যাতে লোকসান না হয় সেজন্য কৃষকদের পাশে থেকে উৎপাদিত আম বিক্রয়ে সহযোগিতা করবে কৃষি বিভাগ।’
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি ইনকিলাব কে জানান,‘ চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২০ মে আম ও ২১ মে লিচু পাড়ার সময় নির্ধারন করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ও কৃষকদের আম সঠিক ভাবে বাজারজাত করন নিশ্চিত করতে ও আমে ক্ষতিকারক ক্যামিকেল মিশানো রোধ করতে উপজেলা প্রশাসন সজাগ রয়েছে। এজন্য কৃষি বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিনিয়োত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলেও তিনি জানান।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ