Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাসাইলের মিরিকপুরে আজকের এই দিনে আঘাত হানে টনের্ডো

সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০২০, ৩:১১ পিএম

টাঙ্গাইলের বাসাইল সদর ইউনিয়নের মিরিকপুর গ্রামের টনের্ডো দিবস আজ। ১৯৯৬ সালের ১৩ মে সোমবার বিকাল ৫টায় স্মরণকালের ভয়াবহ টনের্ডো আঘাত হানে। এতে সেদিন কয়েক হাজার লোক প্রাণ হারায়।

মুহূর্তের মধ্যে কয়েকটি গ্রাম লন্ড-ভন্ড হয়ে যায়। অনেকের ঘরের চালা উড়ে যাওয়ায় গোলার ধান পর্যন্ত ঝড়ে অদৃশ্য হয়ে যায়। অনেক ঘরবাড়ি, গাছপালা,গবাদিপশু নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। অনেক নারী-পুরুষের পরনের কাপড় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। অনেককে সম্পূর্ণ বস্ত্রহীন ক্ষতবিক্ষত দেহে বিভিন্ন কৃষি জমি, জঙ্গল, পুকুর-ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যা থেকে রাস্তায় শুরু হয় লাশের মিছিল।

বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে থাকে আহত ও নিহত মানুষ বাহী গাড়ী। সে এক বিভীষিকাময় দৃর্শ্য। বৈদ্যুতিক খুঁটি ও নলকূপের উপরের অংশ, দালানের ছাদ পর্যন্ত উঠে যায়। ধান কাটার মৌসুম থাকায় উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলার ধানকাটা শ্রমিক জড়ো হয়েছিল এ অঞ্চলে। মিরিকপুর-সৈয়দামপুরের আতঙ্কগ্রস্থ মাঠের বহু শ্রমিক মিরিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দালানে আশ্রয় নিয়েছিল। দালান বিধ্বস্থ হওয়ায় তারা সেখানেই চাপা পড়ে মারা যায়। এলাকার গ্রামের বহু লোক নিখোঁজ হয়। পরদিন তাদের মৃতদেহের খোঁজ মেলে পার্শ্ববর্তী নদী, পুকুর, খাল ও বিলে। মৃত মানুষ, গবাদিপশু ও মাছের দুর্গন্ধে বাসাইলের বাতাস ভারী হয়ে গিয়েছিল। মিরিকপুর ছাড়াও উপজেলার বর্নীকিশোরী, হান্দুলিপাড়া, কলিয়া, কাউলজানী, খাটোরা, ফুলকী, বাদিয়াজান, সুন্না গ্রামের অংশবিশেষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ