Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

একদিনে ৯৬৯ জনের শনাক্ত, মৃত্যু ১১

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক হোম আইসোলেশনে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০২০, ১২:০৩ এএম

দেশে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯৬৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ৬৬০ জনে। এসময়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো ১১ জন মারা গেছেন, এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৫০ জনে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও ছয় হাজার ৮৪৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ছয় হাজার ৭৭৩টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ৩৬ হাজার ৬৩৮টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৯৬৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৬৬০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১১ জন। এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৫০-এ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২৪৫ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন হাজার ১৪৭ জন। নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের সাতজন পুরুষ ও চারজন নারী। তিনজন পঞ্চাশোর্ধ্ব, পাঁচজন ষাটোর্ধ্ব, দুজন সত্তরোর্ধ্ব এবং একজন ৮০ থেকে ৯০ বছর বয়সী। অবশ্য মোট সংখ্যা ১১ বলা হলেও এলাকাভিত্তিক পরিসংখ্যানে একজন কম বলা হয় বুলেটিনে। এতে বলা হয়, মৃতদের মধ্যে ঢাকা মহানগরের পাঁচজন, নারায়ণগঞ্জের একজন এবং নরসিংদীর একজন রয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের আছেন দুজন এবং সিলেট বিভাগের আছেন একজন। গত সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় বিগত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাত হাজার ২০৮টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ৩৪ জনের দেহে, যা সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা খানিকটা কমলেও মৃত্যু হয়েছে সমানসংখ্যক মানুষের। গতকালের বুলেটিনে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ১৫২ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন দুই হাজার ৩৬১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬৭ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ২৫৬ জন। সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে আট হাজার ৬৩৪টি। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে আছে পাঁচ হাজার ৭৩৪টি এবং ঢাকার বাইরে দুই হাজার ৯০০টি। আইসিইউ শয্যা আছে ৩৩৫টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১০২টি। আইসিইউ শয্যা ও ডায়ালাইসিস ইউনিট বাড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে এক হাজার ৬৬৬ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে দুই লাখ ২৫ হাজার ৮৪ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৬৫ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন এক লাখ ৭৯ হাজার ৬৯৯ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৮৫ জন। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩০ হাজার ৯৫৫ জনকে। বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

করোনাভাইরাস মোকাবেলা ও মানুষকে সচেতন করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখা সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ হোম আইসোলেশনে আছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে টেলিফোনে তিনি বলেন, তার বাসার একজন সদস্য কোভিড-১৯ পজেটিভ। তিনি নিজেও শারিরীর ভাবে সামান্য অসুস্থ। মাথা ব্যাথা ও সামান্য জ্বর অনুভব করছেন। তার করোনা পরীক্ষার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে। তাই তিনি বাসায় অবস্থান করছেন।

প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ এর অনুপস্থিতিতে তার দায়িত্ব পালন করছেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. নাসিমা সুলতানা। গতকাল অধিদফতরের মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত এক স্মরকে বলা হয়েছে আমি নিম্ম স্বাক্ষরকারী স্বাস্থ অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ অসুস্থতাজনিত কারনে সাময়িক সময়ের জন্য অফিসে আসতে পারবো না। এই সাময়িক সময়ের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. নাসিমা সুমতালা মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন।

স্মারকে তিনি আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে শারীরিক অবিস্থায় তিনি বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং অবস্থার অবনতি না হলে তিনি বাড়িতে থেকেই সীমিত পর্যায়ে পত্র স্বাক্ষর, নির্দেশনা প্রদান ও ভিডিও করফারেন্সে যোগদান করার চেষ্টা করবেন।#



 

Show all comments
  • শওকত আকবর ১৩ মে, ২০২০, ৮:৪৪ এএম says : 0
    যে ভাবে ঢিলেঢালা লকডাউন চলছে,তাতে সামনের দিনগুলি অতি ভয়াংকর রুপে দেখা দিতে পারে।যা নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেতে পারে বলে বিষেষগ্ঞদের ধারনা।এখন বিশ্বনিয়ান্তা মহান আল্লাহই আমাদের ভরসা।সরকার যারপর্নাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।বান্দার চেষ্টা যেখানে শেষ,আল্লাহর চেষ্টা ঐখান থেকে শুরু।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ