পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তবে শুক্রবার ট্রাম্প সর্ব রোগের মহৌষধ হিসাবে করোনা পরীক্ষা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছিলেন যে, হোয়াইট হাউসে মিলারের সংক্রমণের ঘটনা বিষয়টির উপযোগিতার সীমা প্রদর্শন করেছে। প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘এ কারণেই পরীক্ষার সম্পূর্ণ ধারণাটি চমৎকার নয়।’ তিনি বলেন, ‘পরীক্ষাগুলি নিখুঁত, তবে পরীক্ষার মধ্যবর্তী সময়ে এমন কিছু ঘটতে পারে যখন এটি ভাল এবং তারপর এমন কিছু ঘটে এবং হঠাৎ করেই এটি ভাল নয়। কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে, তার কথায় যুক্তি রয়েছে।
কীভাবে নিরাপদে ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরায় চালু করা যায়, সে বিষয়ে পরামর্শদাতা কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্কার ইনস্টিটিউটে কর্মক্ষেত্রের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা কর্মসূচির পরিচালক নেলি ব্রাউন বলেছেন, ‘মানুষকে পরীক্ষার সীমাবদ্ধতা বুঝতে হবে। তিনি বলেন, ‘আপনি যখন একটি পরীক্ষা করেন, আপনি মূলত সময়ের এটি অংশ মৌলিক অংশ পেয়ে যান। ঠিক এ মুহূর্তে কী ঘটছে তা আপনি জানছেন, কিন্তু তারপরই কী ঘটতে পারে, তা আপনি জানেন না।’
তবে এও তিনি বলেছেন যে, প্রেসিডেন্টের উচিত সারা দেশের জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করা। যেমন, মাস্ক পরিধান করা। তিনি বলেন, ‘আপনি অন্যদের কাছ থেকে যে আচরণের প্রদর্শন চান, সেই আচরণ আপনারই করে দেখানো প্রয়োজন। কারণ আপনি উদাহরণ হিসাবে খুব শক্তিশালী।’
নেলি বলেন, ‘আমরা যে এসব করছি, তা অন্যদের পক্ষে দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা একসাথে এর মধ্যে রয়েছি।’
হোয়াইট হাউসের কেউই প্রত্যাশা করছেন বলে মনে হচ্ছে না যে, ট্রাম্প শিগগিরই যে কোন সময় মাস্ক পরতে শুরু করবেন। তার সহযোগীরা বলেছিলেন যে, এটি জরুরি ছিল না, কারণ যদি কেউ সংক্রমিত থাকেন, সেক্ষেত্রে তার কাছ থেকে অন্যদের সুরক্ষার জন্য মাস্ক পরিধান করা হয় এবং প্রেসিডেন্টকে নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়। তবে ব্যক্তিগতভাবে তারা স্বীকার করেন, তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, এটি পরিধানে তাকে খারাপ দেখায়।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কেইলি ম্যাকএনানি আমেরিকানদের কাজে যোগ দেয়ার বিষয়ে দ্বিমত করে বলেছেন যে, হোয়াইট হাউসের নতুন সংক্রমণের ঘটনাগুলি আমেরিকানদের চলমান ঝুঁকিতে থাকার প্রতিফলন ঘটিয়েছে, যাদের হোয়াইট হাউসের চেয়ে কম পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের সাথে কাজ করে ফিরতে বলা হচ্ছে।
একটি সম্মেলেনে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশেষজ্ঞরা এই বিল্ডিংটি সুরক্ষিত রাখতে যে নির্দেশিকাগুলি সর্বোচ্চ গুরুত্বে পালন করেন, সেসবের অর্থ যোগাযোগের অনুসন্ধান। প্রয়োজনীয় কর্মী রয়েছে এমন ব্যবসাগুলোর জন্য আমাদের প্রস্তাবিত সমস্ত নির্দেশিকা আমরা এখন এখানে হোয়াইট হাউসে তুলে রাখছি।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ট্রাম্পের সাথে যোগ দেয়া নব্বইয়ের দশকের প্রবীণদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন যে, ‘তারা এখানে আসার সুযোগটি বেছে নিয়েছেন কারণ তারা তাদের জাতিকে সর্বাগ্রে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
প্রেসিডেন্ট যিনি সংক্ষেপে তাদের থেকে কয়েক ফুট দূরে দাঁড়িয়ে স্বাগত বক্তৃতা করছিলেন, তিনি কোন মাস্ক পরেননি কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাকএনানি বলেন, ‘মাস্ক পরবেন কি পরবেন না সেই সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট নেবেন।’
সেদিন সেই অনুষ্ঠানের আগে ফক্স ও ফ্রেন্ডস অনুষ্ঠানে ট্রাম্প তার হোয়াইট হাউসের গৃহ সহায়তাকারী যার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তার সম্পর্কে আরও বিশদ খবর সরবরাহ করেন। তিনি বলেছিলেন যে, নৌবাহিনীতে থাকা এই সহযোগী মঙ্গলবারের আগে বেশ কয়েকদিন কাজ করেননি, তিনি ভাইরাসটি বহন করছেন তা আবিষ্কার করার আগে প্রেসিডেন্টের সাথে একই কামরায় অনির্দিষ্ট সময় ধরে অবস্থান করেছেন।
সহায়তাকারীর সাথে সংযোগের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘সংস্পর্শে আসার কথা আমার মনে হচ্ছে না।’
কিছুটা প্ররোচনা দেয়ার পর, প্রেসিডেন্ট উৎসাহিতভাবে হোয়াইট হাউস থেকে সাধারণ নির্বাচনের সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাটিক প্রতিপক্ষ প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেফ আর বাইডেন জুনিয়রকে একটি পরীক্ষার কিট পাঠানোর প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন যে, ‘এটি মিস্টার বাইডেনকে বেসমেন্ট থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে, যেনো তিনি কথা বলতে পারেন।’ সেইসাথে তিনি আরো বলেন, ‘যতবার তিনি কথা বলেন, এটি একটি ভাল বিষয়।’ (সমাপ্ত)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।