পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দৃঢ় মনোবল, সচেতনতা আর ডাক্তারদের সঠিক পরামর্শে ১৫ দিনেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন দুই বৃদ্ধ। কুমিল্লার লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় এমন ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে একজনের বয়স ৫৮ বছর ও অন্য জনের বয়স প্রায় ৫০। এছাড়া করোনা জয় করে পরিবার নিয়ে ঘরে ফিরল ৪ বছরের ছোট্ট শিশু হাসান।সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
লাকসাম (কুমিল্লা ) : কুমিল্লার লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় দুই বৃদ্ধ করোনাকে জয় করেছেন। জানা গেছে, মনোহরগঞ্জ উপজেলার করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বাড়ি উপজেলার মৈশাতুয়া গ্রামে। ওই ব্যক্তি ঢাকা থেকে বাড়ি গেলে করোনা উপর্সগ দেখা দেয়া। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের করোনা র্যাপিড রেসপন্স টিম তার নমুনা সংগ্রহ করলে ২৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তাৎক্ষনিক তাকে হোম আইসলোশানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে নিয়ে চিকিৎসা শুরু হয়। তিনি র্যাপিড রেসপন্স টিমের নির্দেশনা মোতাবেক ওষুধ সেবন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেন। মনোহরগঞ্জে করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগী দ্রুততম সময়ে সুস্থ হয়ে ওঠায় স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগ গঠিত র্যাপিড টিমের মধ্যে আনন্দ দেখা দেয়। কুমিল্লা জেলা করোণা সংক্রমণ প্রতিরোধ সমন্বয়ক ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, নিয়মনীতি মেনে ওষুধ সেবন ও পরামর্শ মেনে চলেন তারা সুস্থ হয়ে ওঠছেন। রোগীদের দ্রুত সুস্থ হতে ধৈর্য্য ও সাহসিকতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, কুমিল্লা লাকসামে করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধ সুস্থ হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন হচ্ছেন, জংশান বেলতলী মডেল মসজিদের মুয়াজ্জিন নাইম হোসেন। তার বাড়ী ভোলা। তিনি হাচি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ : করোনা জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৪ বছরের শিশু হাসান সানজাক। প্রায় এক মাসের চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে শিশুটির বাড়ি ফিরেছেন শিশুটির বাবা-মা এবং দাদাও। করোনা জয়ী একই পরিবারের এ চারজন বলছেন, করোনা আক্রান্ত হলেই সব শেষ হবে না। সঠিক চিকিৎসা আর স্বাস্থ্যবিধি মানলে, করোনা জয় করতে পারবে যে কেউ।
গত ১৪ মার্চ নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জের বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী মো. কামরুজ্জামানের করোনা শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষার পর একে একে তার স্ত্রী ৩১ বছর বয়সী কামরুন্নাহার বেগম, ৪ বছর বয়সী সন্তান হাসান সানজাক ও ৭১ বছরের বাবা আবুল হোসেনের শরীরেও ধরা পড়ে এ ভাইরাস। কিন্তু হতাশ না হয়ে, দৃঢ় মনোবলে ভর্তি হন হাসপাতালে। পরিবারের ৪ সদস্য চিকিৎসা নেয়া শুরু করেন যাত্রাবাড়ীর একটি হাসপাতালে। দীর্ঘ এক মাসের চিকিৎসা শেষে সুস্থ শরীরে বাড়ি ফেরায় চোখে মুখে আনন্দের ছাপ। হাসিমুখে সময় সংবাদকে শোনান করোনা জয়ের গল্পটা। এমন সাফল্যে গর্বিত হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক, নার্সসহ সবাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।