Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রফতানির অস্তিত্বের লড়াই

করোনায় শুভদিক বাজার ধরে রাখতে মালিক-শ্রমিকের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

রফতানি বাজারে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই। বাজার যাতে হাতছাড়া না হয়ে যায় সেই টার্গেটে চলছে কারখানা মালিক-শ্রমিকের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার তোড়জোড়। ১৯৭৬ সালে দেশ গার্মেন্টস দিয়েই জন্মলাভ করে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে রফতানিমুখী গার্মেন্টস শিল্প। কালুরঘাট, নাসিরাবাদ, পাহাড়তলী, মনসুরাবাদ, পতেঙ্গায় দেশের প্রথম ইপিজেড, কর্ণফুলী ইপিজেড, নদীর ওপাড়ে কোরিয়ান ইপিজেড (কেইপিজেড), আগ্রাবাদ, বন্দর এলাকাসহ চট্টগ্রামের গার্মেন্টস শিল্পাঞ্চল এ মুহূর্তে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
বিজিএমইএ বন্দর ও শিপিং কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দীন চৌধুরী গতকাল ইনকিলাবকে জানান, চট্টগ্রামের কারখানাগুলো মোট সক্ষমতার ৭০ ভাগ কাজে লাগিয়ে এখন উৎপাদন করছে। স্বাস্থ্যবিধি, কমপ্লায়েন্সসহ বিধি-বিধান অনুসরণ করে কারখানা মালিক ও কর্মীরা সমন্বিত পরিবেশে কাজ করছেন।
আমাদের সেক্টরের এ মুহূর্তে মূল তিনটি উদ্দেশ্য ও মাথাব্যথা। তা হলো: পোশাক রফতানি অর্ডার এখন থেকে আর যাতে বাতিল না হয়। ভিয়েতনামসহ অন্যকোন প্রতিদ্ব›দ্বী উৎপাদক দেশ যাতে বাংলাদেশের নিট রফতানি বাজারে ভাগ না বসায় এবং এ কারণে বাজার হাতছাড়া হয়ে না যায়। বর্তমানে অবশিষ্ট হাতে টিকে থাকা অর্ডারগুলো দ্রুত তৈরি করে শিপমেন্ট এবং পুরনো ক্রেতাদের অর্ডার জোগান দেয়ার জন্য কারখানাগুলো ধাপে ধাপে সচল করা ছাড়া বিকল্প নেই। এর সাথে শিল্পের অস্তিত্বের প্রশ্ন জড়িত।
চট্টগ্রাম ইপিজেডে ৭৬টি কারখানা, কর্ণফুলী ইপিজেডে ৩০টি কারখানা এবং বিভিন্ন শিল্পাঞ্জলে ২৩২ রফতানিমুখী পোশাক কারখানা উৎপাদনরত রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আমদানি কন্টেইনারের ১৬ মে পর্যন্ত ডেলিভিারির ক্ষেত্রে স্টোর রেন্ট শতভাগ মওকুফ সুবিধার সময়সীমা বাড়ানোর ফলে গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামালসহ বিভিন্ন শিল্প যন্ত্রপাতি সাশ্রয়ী খরচে ডেলিভারি পরিবহন হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি হারে। বিশেষত চট্টগ্রামের কারখানাগুলো খুব কাছে থাকার সুবাদে কাঁচামাল এখানে কয়েক ঘণ্টায় পৌঁছাচ্ছে। উৎপাদনও চলছে দ্রত গতিতে।
গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সাড়ে ১৮ হাজার ইউনিট কন্টেইনার বেসরকারি ইয়ার্ডগুলোতে পরিবহন ও মজুদ করা হয়েছে।
আমদানি কাঁচামাল কাছাকাছি ডেলিভারি এবং তা দ্রুত বৃদ্ধির সুবাদে বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় শিল্প, প্রক্রিয়াজাত শিল্প, কল-কারখানার চাকা ঘুরছে চট্টগ্রাম অঞ্চলে দেড় হাজারেরও বেশি। এরফলে কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন স্থানীয় শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গা-ঝাড়া দিয়ে উঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দ্রব্যমূল্যে তার ইতিবাচক প্রভাবও পড়বে। যা করোনাকালে শুভবার্তা হিসেবে দেখছেন শিল্পোদ্যোক্তাগণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ