পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের মাঝেও মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ফলে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে অবৈধ ঘরবন্দি বাংলাদেশি কর্মীরা চরম গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন। গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় কুয়ালালামপুরের সেলায়াংয়ে শ্রী মূরনি অ্যাপার্টমেন্টে ইমিগ্রেশন পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ ২৪৫ জন অবৈধ অভিবাসী কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মহিলা ও শিশুও রয়েছে। কুয়ালালামপুর থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্র এতথ্য জানিয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১৮ মার্চ লকডাউন ঘোষণা করে দেশটির সরকার। ছয় সপ্তাহ পর লকডাউন কিছুটা শিথিল করে দেশটির সরকার। সাধারণ মানুষ ও অভিবাসী কর্মীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। গতকাল সোমবার কুয়ালালামপুর থেকে ভেস্ট মার্কেটিং এসডিএন-বিএইচডি’র পরিচালক মো. রুহুল আমিন জানান, ইমিগ্রেশন পুলিশ অবৈধ কর্মীদের গ্রেফতার অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশি অবৈধ কর্মীদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তিনি বলেন, আজ সোমবার কুয়ালালামপুরের সেলায়াংয়ে পুলিশ ২৪৫ জন অবৈধ অভিবাসী কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে বাংলাদেশি কর্মীও রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশটির সরকার সকল অভিবাসী কর্মীদের কর্মস্থলে যোগদানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফি কর্মীদেরই বহন করতে হবে। যেসব কর্মী সাসকোর তালিকাভুক্ত তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফি লাগবে না। গতকাল পর্যন্ত ভেস্ট মার্কেটিং কোম্পানীর ১৮ জন কর্মীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করায় তারা কাজে যোগদান করতে পেরেছে।
করোনাভাইরাসের এ মহাসঙ্কটকালে অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীদের গ্রেফতার না করে তাদেরকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় দেশটিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টির জন্য বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন প্রবাসী ব্যবসায়ী রুহুল আমিন। এছাড়া, গত ১ মে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ কুয়ালালামপুর মসজিদ ইন্ডিয়ার সিটি ওয়ান প্লাজা, মালয় ম্যানশন ও সেলাঙ্গার ম্যানশনে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ চার শতাধিক অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে।
বিএমইটির সূত্র মতে, ১৯৭৮ সন থেকে ২০১৮ সন পর্যন্ত দেশটিতে ১০ লাখ ৫৭ হাজার ১৪৪ জন কর্মী গেছে। দশ সিন্ডিকেটের অপতৎপরতায় মালয়েশিয়ার সরকার ২০১৮ সনের শেষের দিকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেয়। বর্তমানের দেশটিতে ছয় লক্ষাধিক কর্মী অবস্থান করছে। ২০১৯ সনে সাধারণ ক্ষমার সুযোগে গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটি থেকে প্রায় ৪৫ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি কর্মী দেশে ফিরেছে। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটির প্রবাসী কর্মীরা ২২৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছে।
কুয়ালালামপুর থেকে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের তন্তর গ্রামের প্রবাসী আল আমিন জানান, স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করায় দেশটিতে ঘরবন্দি অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীরা সবচেয়ে বেকায়দায় পড়েছে। তারা পাসপোর্ট বৈধভিসা ছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না। কাজ কর্ম বন্ধ থাকায় ঘরবন্দি লাখ লাখ বাংলাদেশি কর্মী খাদ্য সঙ্কটের মুখে পড়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।