Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মৃত্যুর পরেই করোনা পজেটিভ!

চট্টগ্রামে রিপোর্ট পেতে ভোগান্তি

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের আমেনা খাতুন (৩৫) উপসর্গ নিয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হন ৮ মে। দুইদিন পর তার মৃত্যু হয়। এরপর করোনা পজেটিভ আসে তার। তার মতো করোনায় হারমানা ১৯ জনের ১৬ জনেরই রিপোর্ট আসে দাফনের পরে। মাত্র তিনজন আগে রিপোর্ট পান। তাদের একজন সরাইপাড়ার ইস্কান্দর উল্লাহ। তিনি তিনদিন হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পান। বাকি এক শিশু এবং এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয় হাসপাতালে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর। স্বজনদের অভিযোগ যথাসময়ে রিপোর্ট না পাওয়ায় করোনা ইউনিটে তাদের ভর্তি করা হয়নি। কোন চিকিৎসাও তাদের ভাগ্যে জোটেনি। 

শুরু থেকেই উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে রোগীর ভিড়। স্বাস্থ্যবিভাগের হিসাবে গতকাল নতুন করে ১৪ জনসহ আইসোলেশনে আছেন ১১১ জন। প্রতিদিন এ সংখ্যা বাড়ছে। তবে নমুনা সংগ্রহ এবং টেস্টে নানা জটিলতা আর ভোগান্তি পোহাতে অনেকের জীবনও চলে যাচ্ছে।
উপসর্গ নিয়ে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগও আছে। নগরীর রাহাত্তার পুলে করোনায় মৃত্যুবরণকারী আহমদ আরমানের পরিবারের ছয়জনের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠে। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন এমন অনেকের নমুনা সংগ্রহ না করার অভিযোগও আছে।
যদিও এসব অস্বীকার করেন স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা। করোনা ল্যাব তিনটি করা হলেও টেস্টে গতি আসেনি। এখনও রিপোর্ট পেতে সাত দিন সময় পার হয়ে যাচ্ছে। এতে উপসর্গ নিয়ে বাড়ি ঘরে থাকাদের মাধ্যমে সংক্রমণ বাড়ছে।
বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল বলেন, অনেকে উপসর্গ থাকার পরও লুকিয়ে রাখছেন। শেষ সময়ে হাসপাতালে আসছেন। এতে হাসপাতাল বা চিকিৎসকের করার কিছুই নেই। তবে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ল্যাবের সংখ্যা বাড়ায় করোনা টেস্টে গতি আসছে। এখন কম সময়ে রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে নতুন করে আরও ১৪ জনের সংক্রমণ পাওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল আরও দুইজনসহ সুস্থ হয়েছেন ৭০ জন। জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব বলেন, হাসপাতালে ৭২ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৫৮ জন করোনা রোগী। বাকিরা রিপোর্টের অপেক্ষায় আছেন।
অপরদিকে চমেক হাসপাতালে একশ’ শয্যার একটি করোনা ব্লক প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানান, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ