Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মার্কেট খোলার দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড

দেশে করোনাভাইরাস

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে করোনা হানা দেয়ার পর এটি একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে করোনায় মোট মারা গেছেন ২২৮ জন। একই সময়ে মার্কেট খোলার প্রথম দিনে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৮৮৭ জন। এটি একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৬৫৭।

গতকাল রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান। তিনি নতুন সংযুক্ত একটিসহ মোট ৩৬টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ হাজার ৬৪২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয় পাঁচ হাজার ৭৩৮টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ২২ হাজার ৬৫৭টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৮৮৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এটি ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৬৫৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৪ জন। এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২২৮-এ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২৩৬ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই হাজার ৬৫০ জন

বুলেটিনে বলা হয়, নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের ১০ জন পুরুষ ও চারজন নারী। চার নারীর মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন এবং ষাটোর্ধ্ব দুজন রয়েছেন। পুরুষদের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব দুজন, ষাটোর্ধ্ব তিনজন এবং ৯০ থেকে ১০০ বছর বয়সী একজন রয়েছেন। গত শনিবার (৯ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় বিগত ২৪ ঘণ্টায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচ হাজার ৪৬৫টি নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৬৩৬ জন। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু এবং শনাক্ত রোগীর সংখ্যাতো বেড়েছেই। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ডও হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এছাড়া মৃত্যুতেও গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর আগে ১৭ এপ্রিলের বুলেটিনে জানানো হয়, বিগত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। যা এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় সর্বোচ্চ প্রাণহানির রেকর্ড।

গতকালের বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ১৬৯ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন দুই হাজার ১১৫জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭১ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ১১৪জন।

করোনা চিকিৎসার জন্য সারাদেশে (ঢাকা শহরের বাইরে) আইসোলেশন শয্যা রয়েছে আট হাজার ৬৩৪টি। আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে ৪০টি শয্যা। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে দুই হাজার ৯০০টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঁচ হাজার ৭৩৪টি। এসব হাসপাতালে আইসিইউর সংখ্যা ৩২৯টি, ডায়ালাইসিস ইউনিট ১০২টি। এছাড়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০০টি ও ময়মনসিংহ নার্সিং ডরমেটরিতে ২০০ আইসোলেশন শয্যা বাড়ানোর কাজ চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে মোট কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ২১৮ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে দুই লাখ ১০ হাজার ৬২৩ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৯৭৯ জন এবং এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন এক লাখ ৭৪ হাজার ২০১ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৩৬ হাজার এবং ৪২২ জন। বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সারাদেশে চলছে ছুটি। বন্ধ বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন। যদিও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া গতকাল রোববার থেকেই শর্তসাপেক্ষে খুলে দেয়া হয়েছে দোকানপাট ও শপিংমল।



 

Show all comments
  • Mannu Babu ১১ মে, ২০২০, ১:৩২ এএম says : 0
    14 হাজার ছাড়িয়ে গেল আক্রান্ত সংখ্যা। চলেন সবাই জিলাপি খাই। তামাশা / কমেডি চলছে। সব খুলে দিয়ে বলে দুরত্ব বজায় রাখুন। আসলে আমরা খুবই কিউট,,,
    Total Reply(0) Reply
  • A M Adil ১১ মে, ২০২০, ১:৩৩ এএম says : 0
    করুণা সীমিত আকারে বাড়ছে
    Total Reply(0) Reply
  • Kamal Pasha Jafree ১১ মে, ২০২০, ১:৩৩ এএম says : 0
    কবর প্রস্তুত রাখুন।
    Total Reply(0) Reply
  • Khairul Alam Ashrafi ১১ মে, ২০২০, ১:৩৪ এএম says : 0
    অর্থনীতি আগে! জীবন পরে! কিছুই করার নাই ভীত্তিতে চলছে সব! আমরা এতো জনগণ কি করার আছে!
    Total Reply(0) Reply
  • Noble Karim ১১ মে, ২০২০, ১:৩৪ এএম says : 0
    খুবই ঝুকিপূর্ণ। সরকার কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে " জীবনের মূল্য বেশি না অর্থনীতির চাকা সচল রাখা বেশি জরুরী "? সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে, এখনই " সিদ্ধান্ত " নিতে হবে, দেরী করলেই * লেট * হয়ে যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Alam Khan ১১ মে, ২০২০, ১:৩৫ এএম says : 0
    ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে লোকডাউন শীতল করা হয়েছে এর অর্থ এই নয় যে জনগণ যত্রতত্র ইচ্ছানুযায়ী ঘোরাফেরা করবে। দীর্ঘদিন দেশ সম্পূর্ণ অচল থাকলে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেবে। এক্ষেত্রে জরুরি শিল্প, ব্যবসা স্বল্প পরিসরে খোলা রাখা বা চালানো জনগণের জন্যই মঙ্গল। একটি কথা হলো, এই অবস্থার ওভারকাম কবে হবে, কতদিনে হবে তা কেউ জানেনা। আর ততদিন কর্ম না করে কেউ ঘরে থাকতেও পারবে না। আর এমন চলতে থাকলেও সক্রামণ আরো বাড়বে। এখন সময়োপযোগী সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আর এ জন্য সরকারকে এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। জনগণ কিভাবে চলবে বা বাইরে যাবে তারও সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Suman Kanti ১১ মে, ২০২০, ১:৩৫ এএম says : 0
    ব্যবসায়ীদের টাকা দরকার। অবৈধ আয়ের মালিকদের জৌলস ও বিলাস দরকার।বর্তমান সময়ে মধ্য বিও, নিম্ন মধ্য বিও ও নিম্ন আয়ের মানুষদের যেখানে না খেয়ে মরার উপক্রম সেখানে শপিং মল খুলে দিলে মানুষ নামের কিছু প্রাণীর প্রান সংহার ঘটবে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • শওকত আকবর ১১ মে, ২০২০, ৯:৫৬ এএম says : 0
    আমাদের এলাকার যারা বিভিন্ন কারখানায় চাকরি করেন তাদের প্রায় সবাইকেই ফোন করে মালিক পখ্খ নিয়েছেন।চড়ম ভোগান্তি আর কয়েকগুন টাকা বেশী খরচ করে জীবনের ঝুকি নিয়ে কার খানাৎউপস্থিত হয়েছেন।এখন নাকি গুন্জন শুরু হয়েছে এ ভাবে আক্রান্ত বাড়তে থাকলে ঈদের ছুটির সংগে ছুটি আরও বাড়িয়ে কারখানা বন্ধ রাখবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ