পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে বসে থেকে খাদ্য সংকটে পড়া দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে নগদ ২৫০০ টাকা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সেই ৫০ লাখ পরিবারের তালিকার মধ্যে এতোদিনে মাত্র ৩৫ লাখ তালিকা প্রায় চুড়ান্ত করেছে সরকার। বাকি ১৫ লাখ পরিবারে তালিকা সম্পূর্ণ হলে নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণের তারিখ ঠিক করবেন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এ সপ্তাহে না হলে আগামী সাপ্তাহে ৫০ লাখ পরিবারকে নগদ ২৫০০ টাকা বিতরণ করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তালিকা দেশের কলেজ, স্কুল, মাদরাসা এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানদের যাচাই-বাচাইয়ের পর চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সারাদেশে ত্রাণ বিতরণেই সবচেয়ে বেশি অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। সে কারণে নগদ টাকা দিবে সরকার। সে কারণে নতুন করে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সিনিয়র সচিব শাহ কামাল বলেন, সব পরিবারের তালিকা পাওয়া গেলে প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ভাবে ৫০ লাখ পরিবারকে নগদ ২৫০০ টাকা বিতরণের কার্যক্রম উদ্ধোধন করবেন। সে তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। তবে এ সপ্তাহে হতে পারে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে টানা ছুটিতে বন্ধ অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এই পরিস্থিতিতে শ্রমের চাহিদা কমে যাওয়ায় বিপাকে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়া ৫০ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে তালিকা তৈরি শুরু হয়েছে।
গত কয়েক দিন সারাদেশের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেয়া ৩৫ লাখ পরিবারের নামের তালিকা আবারো যাচাই-বাচাই চলছে। তালিকা যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে এলাকার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মাধ্যমে। তাদের যাচাই-বাচাই চলছে। সে গুলো শেষ হলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তালিকাভুক্তদের দুই হাজার পাঁচশো টাকা করে দেয়া হবে।
কর্মহীন মানুষের খাদ্য সহায়তার সারা দেশে জন্য এরই মধ্যে চৌদ্দ দফায় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রায় এক লাখ ৪৪ হাজার টন চাল ও প্রায় ৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। একই সঙ্গে শিশু খাদ্যের সহায়তা হিসাবে সাত দফায় প্রায় ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। খাদ্য সহায়তা হিসাবে চলতি মাসে আরো এক লাখ টন চাল বরাদ্দ হচ্ছে। জুন মাসে বরাদ্দ হবে আরো দুই লাখ টন চাল।
সারাদেশে দেখা যাচ্ছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের ইচ্ছামতো রিলিফ বিতরণ করে বাকিটা নিজেরাই নিচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিনই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কেউ কেউ এই অনিয়ম দুর্নীতির কারণে আটক হচ্ছেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আবার অনেক জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। কিন্তু এখনো অনেক জেলায় বরখাস্তকৃতরা গোপনে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা গেছে।
সরকার প্রত্যেকটি জেলায় বিনামূল্যে বিতরণের জন্য জিআর এর চাল সরবরাহ করেছে। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে এই চালের বরাদ্দ পাচ্ছেন পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যারা। চেয়ারম্যানরা আবার এই চাল বিতরণ করছেন পৌর কমিশনার এবং ইউপি সদস্যদের মাঝে। এখানে ইউপি সদস্যরা কাকে চাল দেবেন তা ঠিক কওে দেয়া হচ্ছে না। ফলে একজন ইউপি সদস্য যে চাল পাচ্ছেন তার কিছু বিতরণ করছে কিছু আত্মসাত করছে। এই চিত্র কোন নির্দিষ্ট একটি বা দুটি পৌরসভা অথবা ইউনিয়নের নয় বরং সারাদেশের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স¤প্রতি করোনা প্রতিরোধে যে ৩১টি নির্দেশনা দিয়েছে সেখানে প্রান্তিক মানুষে তালিকা প্রস্তুত করার কথা বলা হয়েছে। তালিকাটি প্রস্তুত হলে বিশেষ পরিস্থিতিতে কোন কোন মানুষের সাহায্য প্রয়োজন হবে তা বোঝা যাবে। এতে করে সাহায্যেরও সুষম বণ্টন হবে। কেউ অনেকবার পাবেন আর কেউ প্রয়োজন হলেও পাবেন না এমন হবে না। ত্রাণ বিতরণে কোন অনিয়ম হলে ছাড় দেয়া হবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।