পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সঙ্কটে খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রাখা, বেশি ফসল উৎপাদন এবং কৃষকদের সহযোগিতা দিতে এবার ৬৪ জেলায় একজন করে কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। কৃষি মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
গতকাল রোববার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, সঙ্কটে খাদ্য উৎপাদনব্যবস্থা চালু রাখা, বেশি ফসল উৎপাদন এবং কৃষকদের সহযোগিতা দিতে ৬৪ জেলায় একজন করে কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা কৃষকের জন্য কাজ করবে। এ সব কর্মকর্তারা কৃষকের কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা সমাধান করবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত ২ মার্চ কৃষি মন্ত্রণালয় এবং এর দফতর-সংস্থার কর্মকর্তাদের ৬৪টি জেলার বঙ্গবন্ধু কৃষি উৎসব তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। এখন করোনাভাইরাস জনিত পরিস্থিতিতে তাদের কৃষি কার্যক্রম তদারকির দায়িত্ব দেয়া হলো। কৃষি কার্যক্রম তদারকির দায়িত্ব দিয়ে কর্মকর্তাদের কর্মপরিধিও নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রাখতে, অধিক ফসল উৎপাদন করতে, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং কোনো জমি যেন পতিত না থাকে সে বিষয়ে কী কী ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে তা তদারকি করতে হবে এসব কর্মকর্তাদের। এছাড়া বোরো ধান কাটার অগ্রগতি, কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার এবং শ্রমিকের চাহিদা ও যোগান সম্পর্কিত বিষয়ে নজরদারি করবেন তারা। এর বাইরে এসব কর্মকর্তাদের আউশে প্রণোদনা, আউশের বীজতলা ও বপন, পারিবারিক সবজি পুষ্টি বাগান স্থাপনের অগ্রগতি, সরকারিভাবে ধান সংগ্রহে কৃষকের তালিকা প্রণয়নের অগ্রগতি, সবজি, ফল, ফুল ও অনন্য কৃষি পণ্য বিপণনে সহায়তা এবং প্রণোদনার আওতায় চার শতাংশ সুদে সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা কৃষি ঋণ গ্রহণে কৃষকদের সহায়তা দিতে বলা হয়েছে।
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে অন্যান্য কার্যক্রম, সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ, সুপারিশ অথবা এ সংক্রান্ত অন্য বিষয়েও কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত অবহিত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে গত ১৭ মার্চ থেকে আগামী বছরের ১৭ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব ইউনিয়নে ‘কৃষি উৎসব’ করার কথা ছিল।
গত ১৭ মার্চ ৬৪ জেলার ৭৮টি ইউনিয়নে একযোগে এই উৎসব শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারীর কারণে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান স্থগিত হওয়ায় এই কর্মসূচিতেও ভাটা পড়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।