Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুষ্টিয়ার সরকারি হাসপাতালে ছদ্মবেশে রোগী দেখার সময় ভুয়া ডাক্তার গ্রেফতার

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২০, ৫:৩০ পিএম

কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পিপিই পড়ে ডাক্তার সেজে রোগী দেখার সময় এক দালালকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
রোববার সকালে হাসপাতালের সামনের একটি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল সাগর হোসেন (২৫) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পারসোনাল প্রোটেক্টেটিভ ইক্যুপমেন্ট (পিপিই) পড়ে ডাক্তার সেজে রোগী দেখছিলেন।

ভুয়া ডাক্তার হিসেবে রোগী দেখার বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে এলে হাসপাতাল চত্বরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভুয়া ডাক্তার সাগর হোসেনকে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪৪ ধারা মোতাবেক এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসাহাক আলী।ভুয়া ডাক্তার সাগর হোসেন জেলার দৌলতপুর উপজেলার নারাযনপুর গ্রামের জামিল ইসলামের ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ওই ভুয়া চিকিৎসক সুরক্ষা পোশাক পরিধান করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ডাক্তার সেজে রোগী দেখছিলেন। এ সময় তিনি ডাক্তার হিসেবেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আগতদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রেসক্রিপশন লিখে তার পছন্দমতো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে আসছিলেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী এবং রোগীর স্বজনরা জানান, প্রতিদিন এ হাসপাতালে কুষ্টিয়া জেলাসহ মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও রাজবাড়ী জেলা থেকে শত শত রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে এখানে ভিড় জমান। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে হাসপাতালের গেটের সামনের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়োজিত দালাল সেবা প্রত্যাশী রোগী এবং তাদের স্বজনদের সাথে দিনের পর দিন প্রতারণা চালিয়ে আসছে। বর্তমানে করোনার প্রার্দুভাবের কারণে সরকারি এ হাসপাতালটি অনেকটাই রোগী শূন্য। করোনা রোগীদের চিকিৎসা চলছে এই হাসপাতালে এ আতঙ্কে অধিকাংশ রোগী এখন শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে ভিড় জমাচ্ছেন। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হাসপাতালের গেটের সামনে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়োজিত দালালদের দৌরাত্ম এখন চরমে পৌঁছেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার নুরুন্নাহার বেগমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজেও বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এটা কিভাবে সম্ভব?



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ