Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে মৃতের সংখ্যা

দেশে করোনাভাইরাস

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ২১৪ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া নতুন করে আরো ৬৩৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১৩ হাজার ৭৭০ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ১৭৭ জনের।

গতকাল শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি ৩৫টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ হাজার ২৪৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয় পাঁচ হাজার ৪৬৫টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ১৬ হাজার ৯১৯টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৬৩৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৭০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও আটজন। এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২১৪-এ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৩১৩ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই হাজার ৪১৪ জন।

গত শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় বিগত ২৪ ঘণ্টায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচ হাজার ৯৪১টি নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭০৯ জন। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা বাড়লেও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে।

গতকালের বুলেটিনে ডা. নাসিমা বলেন, নতুন করে যারা মারা গেছেন, এদের সবাই পুরুষ; সত্তরোর্ধ্ব দুজন, ষাটোর্ধ্ব দুজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুজন ও ত্রিশোর্ধ্ব একজন। তিনি জানান, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সমাপ্ত ঘটনার বিবেচনায় এ পর্যন্ত সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ৮ দশমিক ২ শতাংশ। মোট রোগী শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ১৯৬ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন দুই হাজার ১৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৫৩ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ৪৩ জন।

করোনা চিকিৎসার জন্য সারাদেশে (ঢাকা শহরের বাইরে) আইসোলেশন শয্যা রয়েছে আট হাজার ৫৯৪টি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে দুই হাজার ৯০০টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঁচ হাজার ৬৯৪টি। এসব হাসপাতালে আইসিইউর সংখ্যা ৩২৯টি, ডায়ালাইসিস ইউনিট ১০২টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে মোট কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে এক হাজার ৭৫৫ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই লাখ আট হাজার ৪০৫ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৭১৮ জন এবং এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন এক লাখ ৭১ হাজার ২২২ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৩৮ হাজার ১৮৩ জন। দেশের ৬৪ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত আছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে করোনা সেবা দেয়া যাবে ৩০ হাজার ৯৫৫ জনকে। বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সারাদেশে চলছে ছুটি। বন্ধ বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন। কিন্তু সম্প্রতি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া আজ রোববার থেকে শর্তসাপেক্ষে শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্তও হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শর্তসাপেক্ষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায়ে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে মসজিদও।



 

Show all comments
  • Mijanur Rahman Mijan ১০ মে, ২০২০, ১:৪০ এএম says : 0
    গার্মেন্টস বন্ধ না আবার ঈদের শপিং করার জন্য মার্কেট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হায়রে ভাঙালি লকডাউন কিভাবে দিতে হয় তা ইতালির কাছ থেকে শিখার আছে, আগের চাইতে ইতালির পরিস্থিতি খুবি ভাল ইতালির সরকার লকডাউন তুলে নিয়েছে আগের মত আমরা কাজ করতে পারাচ্ছি , বাংলাদেশ নিয়ে অনেক চিন্তা হয়, ইতালির মত অবস্থা যদি বাংলাদেশে হয় তাহলে লাখ লাখ মানুষ রাস্তাই মরে পড়ে থাকবেন দেখার কেও থাকবে না, তাই সবাই সচেতন হোন। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ ও সুস্থ থাকবে।
    Total Reply(0) Reply
  • A S Faysal Ahmed ১০ মে, ২০২০, ১:৪০ এএম says : 0
    টেস্ট এর সংখ্যা কমছে ।তবুও গণস্বাস্থ্যের কীট ব্যাবহার করা হবে না, কারণ দেখাইতে হবে আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণ e সফল
    Total Reply(0) Reply
  • Fokrul Hasan Redoy ১০ মে, ২০২০, ১:৪০ এএম says : 0
    অন্য দেশগুলোতে টেস্ট কার্যক্রম দিন দিন বৃদ্ধি করে অার এই বাংলাদেশে যে একটু ঠেলাগাড়ির গতিতে স্টেট করে তাও অাবার দিন দিন কমে ১৮ কোটির দেশে ৪ & ৫ হাজার টেস্ট দিনে হাস্যকর যেখানে দিনে ১ লক্ষ টেস্ট দরকার জানি উন্নত দেশগুলোর মতো দিনে অতগুলো টেস্ট করা সক্ষমতা অাপনাদের নাই কিন্তুু দিনে ২০ হাজার টেস্ট করতে পা
    Total Reply(0) Reply
  • Shumaiyah Sarmin Akter ১০ মে, ২০২০, ১:৪১ এএম says : 0
    আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি কোনটাই আমাদের কাম্য নয়। সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু কমার পথে আর বাংলাদেশে বৃদ্ধির পথে। সব গার্মেন্টস মালিকদের আর উপর মহলের অবহেলার কারণে! বিএনপির সমাবেশ, আন্দোলন যেভাবে আটকানো হতো সেভাবে লকডাউন করলে আক্রান্তের সংখ্যা এতো বৃদ্ধি পেতো না!
    Total Reply(0) Reply
  • Faizul Haqu Mamun ১০ মে, ২০২০, ১:৪১ এএম says : 0
    আল্লাহ মালুম এই সংখ্যা কোথায় গিয়ে থামে!
    Total Reply(0) Reply
  • শওকত আকবর ১০ মে, ২০২০, ৮:৫৬ এএম says : 0
    মানুষ জীবনের চেয়েও জীবিকার মুল্য দিচ্ছে বেশি।ঐ যে কথায় আছেনা! মরতে তো হবে ই খাইয়া মরি।নইলে তাবত দুনিয়ার রথি মহারথি মোড়লরা পর্যন্ত ভয় তটস্থ। আর আমাদের দেশে কুচ পরোয়া নেহি।কেউ শুনেনা কারো কথা।সরকারই বা করবে কি?গ্রামের কিছু মানুষ ত্রান পাওয়ার ব্যাস্থসমায় পাড় করছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ