পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আদালত বন্ধ। নতুন কোনো মামলা হচ্ছে না। আটকে আছে জরুরি জামিন শুনানিসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বহু বিষয়। করোনার ক্রম: সংক্রমণে বার বার বাড়ছে আদালতের ছুটির সীমানাও। এ ছুটি কবে শেষ হবে- নিশ্চিত বলতে পারছে না কেউ। এ পরিস্থিতিতে আইনগত কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না সংক্ষুব্ধ পক্ষ। অনেকটাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় তারা এখন আশ্রয় নিচ্ছেন ‘লিগ্যাল নোটিস’র। আইনের ভাষায় তৈরি করে রাখছেন ‘কজ অব অ্যাকশন’। নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিকার মিললে ভালো। অন্যথায় ‘ভার্চুয়াল কোর্ট’ চালু হলেই হয়তো দায়ের হবে মামলা।
আইনজ্ঞদের মতে, লিগ্যাল নোটিস (উকিল নোটিস) হচ্ছে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের চূড়ান্ত সঙ্কেত। উদ্দেশ্য হচ্ছে, নোটিস প্রাপককে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা। তিনি যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উৎসাহী হন। চেক ডিজ-অনার মামলা, অর্থ ও বিষয়-সম্পত্তি আত্মসাৎ মামলার আইনে লিগ্যাল নোটিস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রিটের ক্ষেত্রেও লিগ্যাল নোটিসের পক্ষে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। আলাপচারিতায় কয়েকজন আইনজীবী জানান, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আগেই গত ফেব্রুয়ারি থেকে সতর্ককতামূলক ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিস দেয়া হয়। ‘ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন’র পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব ৮ ফেব্রুয়ারি সরকারকে নোটিস দেন। কিন্তু বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে প্রতিকার না মেলায় রিট করতে বাধ্য হন তিনি। এ প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট করোনার সংক্রমণ রোধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশনাও দিয়েছেন। তবে আদালত বন্ধ থাকায় অনেক আইনজীবী লিগ্যাল নোটিস দিয়েও মামলা করতে পারেননি। ‘ভার্চুয়াল কোর্ট’ চালু হলে তারা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। আইনজীবীরা জানান, গত ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি মাস পর্যন্ত ৩ মাসে শুধুমাত্র করোনা বিষয়ক দুই ডজনের বেশি লিগ্যাল নোটিস ইস্যু হয়েছে। ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, অ্যাডভোকেট জে.আর.খান রবিন, তানজিম আল ইসলাম, মনিরুজ্জামান লিংকন, অ্যাডভোকেট এ.এইচ. ইমাম হাসান ভুইয়া, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউসার, অ্যাডভোকেট ফাহিমা ফেরদৌস, ব্যারিস্টার রাশনা ইমামসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী করোনা কেন্দ্রিক বিভিন্ন বিষয়ে এসব নোটিস দেন। তবে অধিকাংশ লিগ্যাল নোটিসেরই কোনো ধারাবাহিকতা নেই। আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি থাকলেও প্রতিকার মেলেনি। তবে ব্যাপক প্রচার মিলেছে অধিকাংশ নোটিসের। এ বিষয়ে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি করোনা রোধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিস দিয়েছিলাম। ব্যবস্থা না নেয়ায় আমাদের রিট করতে হয়েছিলো। এ প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ একটি নির্দেশনা দেন। আজ করোনা সংক্রমণ রোধে যতগুলো বৃহৎ পদক্ষেপ দৃশ্যমান প্রায় সবগুলো আমাদের রিটের অর্জন।
নোটিসের বিষয়ে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, মামলার আগে নোটিস করার পক্ষে হাইকোর্টের একটি জাজমেন্ট রয়েছে। এ কারণে এসব নোটিসের একটি গুরুত্বও রয়েছে। অনেকেই রীতিমতো প্রতিযোগিতা করে নোটিস ইস্যু করেন। কিন্তু পরবর্তীতে কোনো মামলা করেন না। হয়তো আলোচনায় আসা কিংবা প্রচারের উদ্দেশ্যেই কেউ কেউ এটি করেন। এটি হচ্ছে লিগ্যাল নোটিসের অপব্যবহার। ইদানিং এ প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে অবশ্য আইনজীবী এবং গণমাধ্যমের একটি দায়িত্বশীলতার বিষয় রয়েছে। প্রচার সুবিধা নেয়ার জন্য কেউ লিগ্যাল নোটিসের অপব্যবহার করছেন কি না এটি উভয় পক্ষকেই দেখতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।