Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রবিবার খুলছে মার্কেট, কুষ্টিয়ায় মাস্ক ছাড়া ঈদের কেনাকাটা করা যাবে না: জেলা প্রশাসক

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২০, ৫:০৯ পিএম

কুষ্টিয়ায় আগামীকাল রবিবার (১০ মে) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেট, বিপণি বিতান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যবসায়ী সমিতি। তবে মার্কেটে আসতে পারবেন শুধু শহরের বাসিন্দারা। অন্য উপজেলা থেকে কেউ শহরে এসে মার্কেট করতে পারবেন না।

তবে তাদের মুখে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই সঙ্গে দোকানিদের সামাজিক দূরত্ব নিজ দায়িত্বে নিশ্চিত করতে হবে। আজ শনিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সভায় কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত, কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রবিউল ইসলামসহ জেলার বড় বড় শপিং মল ও বিপণিবিতান সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।সভায় জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, প্রতিদিন সকাল ১০টায় দোকান খোলা রেখে বিকেল ৪টার মধ্যে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আর ক্রেতাদের দোকানে মাস্ক পরে ঢোকার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পণ্যের গায়ে একদর লেখা থাকলে ভালো হয়। একদর লেখা থাকলেও পণ্যের দাম ক্রেতাদের নাগালে থাকতে হবে। একদর থাকলে পণ্য পছন্দ হলে ক্রেতারা দ্রুত সেটা কিনে দোকান থেকে চলে যেতে পারবে। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বড় বড় শপিং মলসহ বিপণিবিতানের সামনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের কড়া টহল থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোনো দোকান খোলা রাখতে না পারলে সেই দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ঈদের শপিংয়ে কোনো বাধা নেই। তবে মাস্ক ছাড়া কোনো ক্রেতা শপিং করতে পারবে না। দোকানদাররা নিজ দায়িত্বে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করবে। এর ব্যত্যয় করা যাবে না।

শনিবার (৯ মে) দুপুরে জেলা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও জেলা চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম কাদরী শাকিল বলেন, মার্কেট খোলার ব্যাপারে শনিবার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ব্যবসায়ী সমিতির সভা হয়েছে। এতে বেশকিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে মার্কেট করার সময় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কে মাস্ক ও গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়াও শহরের বাসিন্দারা কেবল মার্কেট করতে পারবেন। অন্য উপজেলা থেকে কেউ শহরে এসে মার্কেট করতে পারবেন না। প্রতিটি শপিং মলের সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। মার্কেটের ভেতরে জীবাণু মুক্ত রাখার ব্যাবস্থা থাকতে হবে। শহরের মজমপুর থেকে বড় বাজার পর্যন্ত কোনও অটোরিকশা চলবে না। এ ছাড়াও ফুটপাতে কোনও দোকান বসতে দেওয়া হবে না। জেলার বাইরের কর্মচারীদের না আসতে জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে সবাইকে ব্যবসা করতে হবে। না মানলে তার দোকান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ