পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ঢাকা মহানগর পুলিশের চার সদস্য মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের সেবায় দায়িত্ব পালন করে যাবেন। করোনায় আক্রান্ত হলেও মনোবল কমেনি সামান্যও। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হাওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন এমন চারজন গতকাল সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। সেরে ওঠা চারজনই বলেছেন, মনের দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু সিনিয়র কর্মকর্তা, সহকর্মীরা সাহস জুগিয়েছেন। এখন তারা সুস্থ, কাজে ফিরতে প্রস্তুত।
ডিএমপির পরিবহন শাখায় কর্মরত কনস্টেবল পারভেজ মোশাররফ ভালোই ছিলেন। হঠাৎ গায়ে জ্বর। গলাব্যথাটা একেবারে সহ্যের বাইরে। পরীক্ষায় দেখা গেল, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এ সংবাদ শুনে পারভেজ মানসিকভাবে একটু দুর্বলই হয়ে পড়লেন। তারও যে করোনার সংক্রমণ। পারভেজ থাকেন ঢাকার রাজারবাগ ব্যারাকে। সন্তানসম্ভবা স্ত্রী থাকেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে। খবরটা শুনলে স্ত্রীর প্রতিক্রিয়া কী যে হয়, ভেবে অস্থির তিনি। একপর্যায়ে দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে পরিবারের সবাইকে পারভেজ জানিয়ে দিলেন নিজের অসুস্থতার কথা। স্ত্রী ভীষণ ঘাবড়ে গেলেন। ১৭ এপ্রিল রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হলেন পারভেজ। এক দিন পর ১৯ এপ্রিল স্ত্রী কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন। করোনার সঙ্গে লড়ে পারভেজও জয়ী হলেন। তিনি এবং তার স্ত্রী ও একমাত্র মেয়ে সবাই এখন ভালো আছেন।
পারভেজের সঙ্গে আরও ২০ সহকর্মীও সেরে উঠেছেন। সুস্থ হওয়ার পথে আরও অনেকে। তাদের একজন মো. মতিন। তিনিও পরিবহন শাখায় কাজ করেন। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে ঢাকার বাসায় থাকেন। ৬ এপ্রিল কাজ সেরে বাসায় ফেরার পর জ্বর, গলাব্যথা। তিনি গরম পানিতে লবণ দিয়ে গড়গড়া করতে লাগলেন। কিছুতেই কিছু হয় না।
রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা করোনাভাইরাস পরীক্ষা করতে পাঠালেন। এক দিন অপেক্ষা করলেন। ৮ এপ্রিল পরীক্ষা করাতে গেলেন, রিপোর্ট পজিটিভ। আরও দুদিন অপেক্ষা করার পর ১১ এপ্রিল রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হন। তখন তিনি ছাড়া সেখানে আরেকজন ভর্তি। ১১ দিন পর দুটো রিপোর্টে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নেই নিশ্চিত হয়ে বাসায় ফিরেছেন।
নীলফামারির ছেলে কনস্টেবল আলমগীর হোসেন ১৫ এপ্রিল নমুনা দিয়েছিলেন। রিপোর্ট পজিটিভ পেয়ে ১৭ এপ্রিল হাসপাতালে যান, ফিরেছেন ৬ মে। করোনায় সংক্রমিত হওয়ার খবরে ভয় পেয়েছিলেন কি না, জানতে চাইতে সংক্ষেপে জবাব দিলেন তিনি। ভয় পেলেও সাহস হারায়নি। আবার কাজে ফিরবেন। পুলিশ সদস্য মো. হাসান আলীকে অবশ্য গোড়া থেকে শক্তই থাকতে হয়েছে। ঢাকার কাছে ধামরাইয়ে মা-বাবা, ভাই- বোন, স্ত্রী-সন্তানের যৌথ পরিবার। ওয়ারিতে দায়িত্ব পালন শেষে ক্লান্ত শরীরে ব্যারাকে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঘুম ভাঙে বুকে চাপ আর শ্বাসকষ্ট নিয়ে। করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি হন। রোগের খবর জেনে পরিবার ভীষণ মুষড়ে পড়ে। মো. হাসান আলী ফোন করে ঘরের লোকদের সাহস জোগাতেন, বলতেন তার কিচ্ছু হয়নি। তিনি ঠিক হয়ে যাবেন। সত্যিই তিনি সুস্থ হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।