Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জমি নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধ খুন, ১০জনকে আসামী করে মামলা

সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০২০, ১০:২৮ এএম | আপডেট : ১০:৫৭ এএম, ৭ মে, ২০২০

বিরোধীয় জমির ধান কাটতে বাধা দেওয়ায় টাঙ্গাইলের সখিপুরে ভাতিজাদের দায়ের কুপ, টেটা ও লাঠির আঘাতে খুন হয়েছেন বৃদ্ধ চাচা হারেজ শিকদার (৭০)। মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার দাড়িপাকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত চারজনকে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার নিহতের ছেলে আহত আনোয়ার শিকদার (৩৫) বাদী হয়ে মাঈন শিকদারসহ ১০ জনকে আসামি করে সখিপুর থানায় খুনের মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আহতরা হলেন, নিহতের ভাতিজা কাশেম শিকদার (৬৫), ছেলে আনোয়ার (৩৫), দেলোয়ার (৩২) ও নাতি রতন শিকদার (২৯)। এদের সবার বাড়ি উপজেলার দাড়িপাকা(পূর্ব পাড়া) গ্রামে। পারিবারিক জমিজমার মালিকানা নিয়ে বিরোধে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার দাড়িপাকা গ্রামের হারেজ শিকদারের রেকর্ডীয় জমিতে সৎভাতিজা মাঈন শিকদার, সোহরাব শিকদার ও জুলহাস শিকদারের নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে ওই জমিতে লোকজন নিয়ে ধান কাটা শুরু করে। খবর পেয়ে হারেজ তার ভাই, দুই ছেলে ও নাতিকে সঙ্গে নিয়ে বাধা দিতে যায়। ধান ক্ষেতের কাছাকাছি পৌঁছলে পেছন থেকে মাঈন ও জুলহাস শিকদারের নেতৃত্বাধীন দল হারেজ শিকদারের মাথায় দা, টেটা ও লাঠির উপর্যুপরি আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বৃদ্ধ হারেজ। হারেজকে বাঁচাতে গেলে তার ভাতিজা, দুই ছেলে ও নাতি প্রতিপক্ষের আঘাতে গুরুতর আহত হন। পরে প্রতিবেশীরা সবাইকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বৃদ্ধ হারেজের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তরের প্রস্তুতিকালে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি হাসপাতালেই মারা যান। নিহতের নাতি আহত রতন শিকদার জানান, দাদার নামে রেকর্ডীয় ওই জমি নিয়ে জুলহাস দাদার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে জুলহাস হেরে যায়। এরপর থেকেই আসামিপক্ষ দাদার প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শাহীনুর আলম মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সখিপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বদিউজ্জামান বলেন, ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গগ্রেফতারে সর্বাধুনিক তথ্যগত কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ