পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাকারণে সউদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে কর্মী সঙ্কট তৈরি হয়েছে। সেই সাথে দেশের একক বৃহৎ মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী অধ্যুষিত চট্টগ্রাম অঞ্চলে ঘরে ঘরে বিরাজ করছে অভাব-অনটন আর অনিশ্চয়তা। করোনা পরিস্থিতিতে সউদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে তেলের দরপতনসহ নানা কারণে অর্থনৈতিক মন্দা প্রকট হচ্ছে। মন্দার ধকলে পড়ে চট্টগ্রামের লাখো প্রবাসী কর্মী আয়-রোজগারহারা হয়ে পড়ার শঙ্কা ও ঝুঁকিতে আছেন।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রবাসী যোদ্ধাদের রেমিট্যান্স আয়ে ভাটার টান ধরেছে। রোজায় এবং ঈদের আগেভাগে প্রবাসীদের প্রেরিত শত শত কোটি টাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে লেনদেন হয় প্রতিবছর। এবার তা ১৫ শতাংশেরও নিচে। এ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কয়েকজন ম্যানেজার।
মহানগরীর বন্দর, পতেঙ্গা, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, ডবলমুরিং, বায়েজিদ, আগ্রাবাদ এবং জেলার রাউজান, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া, পটিয়া, স›দ্বীপ, মীরসরাই, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ সর্বাধিক মধ্যপ্রাচ্য অধ্যুষিত এলাকা। জানা গেছে, এবার মাহে রমজানে প্রবাসী পরিবারগুলোকে গ্রাস করেছে আর্থিক সঙ্কট। রেমিটেন্স পাঠাতে পারেননি অনেকেই।
ঘরে ঘরে আনন্দের বদলে দুশ্চিন্তা ভর করেছে। ভবিষ্যৎ কীভাবে কাটবে? ঈদুল ফিতরেও সঙ্কটের জের চলবে। অথচ চট্টগ্রামের বিশেষত মধ্যপ্রাচ্য বিপুল সংখ্যক প্রবাসী রোজায় ও ঈদের আগে নিজ নিজ এলাকায় গরিব-দুঃস্থদের জন্য দান-সদকা-সাহায্য হিসেবে পাঠিয়ে থাকেন বিপুল পরিমান বরাদ্দ।
অন্যদিকে করোনাকালে সউদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যারা আগে দেশে এসেছেন তারাও আটকে গেছেন। অনেকেই চাকরি হারানো ঝুঁকিতে পড়ে গেছেন। কেননা তারা যেতে পারেননি বিমান চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে। তারা বিভিন্ন দেশে কাজকর্ম, ব্যবসা ও আয়-রোজগার হারানোর উপক্রম। অনেকেরই ওয়ার্ক পারমিট ও ভিাসার মেয়াদ পার হয়ে গেছে।
এ অবস্থায় সউদীসহ মধ্যপ্রাচ্যে মন্দার কবলে কর্মহীন হয়ে পড়া কিংবা ঝুঁকিতে থাকা লাখো কর্মী, আবার অন্যদিকে স্বদেশে এসে আটকে পড়া প্রবাসীরা ভবিষ্যতে চাকরি ফিরে পাওয়া নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা-বন্দরের সংসদ সদস্য সাবেক চিটাগাং চেম্বার সভাপতি এম এ লতিফ ইনকিলাবকে জানান, এলাকায় অনেক প্রবাসী মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে কর্মরত। করোনাকারণে তাদের অনেকেই কাজ হারানোর সম্মুখীন। আবার যারা দেশে এসেছেন তাদেরও অনেকে কর্মস্থলে কবে কিভাবে যাবেন বা আদৌ কাজ ফিরে পাবেন কিনা তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। সবমিলে তৈরি হতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসী-যোদ্ধা কর্মীদের নিয়ে জটিল এক সঙ্কট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।