পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুস্থ মুসল্লিদের জন্য শর্ত সাপেক্ষে আজ বৃহস্পতিবার যোহরের নামাজ থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে মসজিদগুলোতে জামাতে নামাজ পড়া যাবে। তবে নামাজ পড়ার জন্য মুসল্লিদের স্বাস্থ্যবিধিসহ কিছু নির্দেশাবলী বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলতে হবে। গতকাল বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ গতকাল বলেন, চলতি রমজান মাসে দেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। দেশের শীর্ষ আলেম-ওলামারা মুসল্লিদের মসজিদে নামাজ পড়ার সুযোগ করে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানান। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচাতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশনা মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ধর্ম মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
তিনি বলেন, জোহরের নামাজের পর থেকে সারাদেশের মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ পড়ার সুযোগ পাবেন। তবে মসজিদে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতর নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু শর্তাবলী থাকবে। এসব শর্তাবলীর কথা সারাদেশের মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে জানিয়ে দেয়া হবে।
এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সম্প্রতি ওয়াক্তের নামাজে সর্বোচ্চ পাঁচজন এবং তারাবির নামাজে সর্বোচ্চ ১০জন নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে নির্দেশনা জারি করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী ১০ মে থেকে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের পরপরই মসজিদগুলোতে নামাজ পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য শীর্ষ আলেম ওলামাদের পক্ষ থেকে দাবি উঠে। আলেম ওলামারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানান। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ধর্ম মন্ত্রণালয় বিশেষ শর্তসাপেক্ষে আজ থেকে মুসল্লিদের মসজিদে নামাজ আদায়ের অনুমতি দিলো।
এদিকে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফী শর্ত সাপেক্ষে মসজিদ উন্মুক্তকরণ প্রসঙ্গে বলেন, রোগ সংক্রমণের আয়োজন অনেক আগ থেকেই হয়ে গেছে। শিল্প-কারখানা খুলে দেয়া হচ্ছে। ফেরিতে গাদাগাদি করে মানুষ স্রোতের মতো ঢাকামুখী হচ্ছে। কাওরান বাজারে রাতে হাজার হাজার মানুষ গাদাগাদি করে বেচা-কেনা করছে। মসজিদ খুলে দেয়ায় জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংক্রমণের দোহাই দিয়ে মসজিদ বন্ধ রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। বরং মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জামাতে নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহর কাছে বেশি বেশি তাওবা-ইস্তিগফার করলে আল্লাহপাক এই ভয়াবহ মহামারী তুলে নিতে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।