পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720370245](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের উপসর্গ (জ্বর-সর্দি-কাশি) নিয়ে দৈনিক সময়ের আলোর আরেক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। মাহমুদুল হাকিম অপু নামের ওই সাংবাদিকের স্ত্রী জানান, মঙ্গলবার সেহরির জন্য ঘুম থেকে ডাকতে গেলে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
তিনি পত্রিকাটিতে সিনিয়র সাব-এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাংগঠনিক সম্পাদক ও সময়ের আলোর সিনিয়র রিপোর্টার হাবিবুর রহমান বলেন, মাহমুদুল হাকিম অপু করোনার উপসর্গ নিয়ে বাসায় ছিলেন। আজ (বুধবার) ভোর রাতে তিনি মারা গেছেন। তার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে আইইডিসিআর। রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে উনার করোনা ছিল কিনা। পত্রিকাটির এই সিনিয়র রিপোর্টার জানান, আমাদের পত্রিকার খোকন ভাই মারা যাওয়ার পর বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও অনেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে বাসায় রয়েছেন।
এদিকে মাহমুদুল হাকিম অপুর মৃত্যুর দায় সময়ের আলো
এড়াতে পারে না বলে বিবৃতি দিয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু। ডিইউজে নেতৃদ্বয় অপুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর খোকনের করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর পর আমরা আশা করছিলাম, সময়ের আলো কর্তৃপক্ষ আরও দায়িত্বশীল আচরণ করবেন। কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটির সকল সাংবাদিক ও কমর্চারীর করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন । কিন্ত কার্যত সে ধরণের কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বাসা থেকে সাংবাদিকদের কাজ করার দায়সারা একখানা নোটিশ দিয়ে কর্তৃপক্ষ কার্যত তার দায়িত্ব এড়িয়ে গেছেন।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, এখনও বেশ কিছু গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেনি। ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, যা অমানবিক। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাংবাদিকদের চিকিৎসার সংশ্লিষ্ট ব্যয় প্রতিষ্ঠানকে বহন করার জন্য ইতিপূর্বে একাধিকবার ডিইউজের পক্ষ থেকে দাবি জানানোর পরেও করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, তারা নিজের খরচে চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে বাধ্য হয়েছেন।
বিবৃতিতে ডিইউজে নেতারা বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিকের পরিবারের দায়ভার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে। তাছাড়া, এ ধরণের মর্মান্তিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে সরকারেরও এগিয়ে আসতে হবে বলে ডিইউজে আশা করে।
এর আগে গত ২৮ এপ্রিল পত্রিকাটির সিটি এডিটর ও চিফ রিপোর্টার হুমায়ুন কবির খোকন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।