পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংকটে সেলফ আইসোলেশনে রয়েছেন বেশিরভাগ মন্ত্রী, এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সীমিত কয়েকজন মন্ত্রীদের নিয়ে একাই লড়ে চলেছেন করোনার বিরুদ্ধে। মন্ত্রী ও নেতাদের সেলফ আইসোলেশনের মাঝেও রয়েছে নানা বিপত্তি। তারা তাদের নূন্যতম দায়িত্বও পালন করছেন না, বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা উদ্যোগ তাদের দ্বারা বিতর্কিত হচ্ছে। গরীব, দুঃখীদের জন্য সরকারের ত্রাণ সহযোগীতায় করছেন নানা অনিয়ম। এ নিয়ে বেশ বিরক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মন্ত্রিপরিষদের বেশিরভাগ সদস্য নিজ বাড়িতে সেলফ আইসোলেশনে রয়েছেন। তারা নিজের এলাকায় যাননি কিংবা সরকারি কোন দায়িত্বে যুক্ত নন। হাতে গোনা কয়েকজন বাইরে নিয়মিত সরকারি দায়িত্ব পালন করছেন এবং নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে ত্রাণ বিতরণেও অংশ নিয়েছেন। কেউ কেউ আইসোলেশনে থেকে ভাল কাজ করছেন। আবার কারো কার্যক্রম একদমই দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে বেশিরভাগ সংসদ সদস্যও নিজ এলাকায় যাননি এই সংকটে। অবস্থান করছেন ঢাকা। কিছু এমপি দলের নেতাকর্মীদের দিয়ে ত্রাণ বিতরণ করিয়েছেন, কিন্তু অনেকে আবার এলাকার ত্রাণ বিতরণের বিষয়ে তেমন একটা খোঁজ খবরও রাখছেন না। ধান কাটার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের প্রশংসা করার পর কিছু এমপি লোক দেখানো ধান কাটার ফটোসেশন করে ছাত্রলীগের ধানকাটা কার্যক্রমকে আরো প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জনপ্রতিনিধিদের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তবে কয়েকজন এমপি কৃষকদের কমবাইন্ড হারভেস্টার মেশিন সহায়তা দেয়ায় খুশি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকো করোনা সংকট মোকাবেলায় শুরু থেকেই এমপি বা মন্ত্রীদের কোন বিশেষ দায়িত্ব দেননি প্রধানমন্ত্রী। সরকারি আমলাদের উপর নির্ভর করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এমন পদক্ষেপ মন্ত্রী বা এমপিদের দায়িত্বহীনতার কারণ বলে মনে করছে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতারা।
এদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলা পর্যায়ের বেশিরভাগ নেতাই সেলফ আইসোলেশনে রয়েছেন। তাদেরকে করোনা সংকটে দেখা যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন। দলের বেশিরভাগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আইসোলেশনে, কেন্দ্রীয় কমিটিরও বেশিরভাগ নেতা নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এম এম কামাল, মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান নিয়মিত দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ঢাকা শহরের দুই মেয়রকেও তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনকে কয়েকদিন দেখা গেলেও নবনির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসকে করোনা সংকটে দেখা যায়নি। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে যারা মেয়র ও কাউন্সিলর পদের জন্য মাঠ ধাবরিয়ে বেড়িয়েছিলেন কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেতে যারা দৌঁড়ঝাপ চালিয়েছেন, দিনরাত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে হাজিরা দিয়েছেন তাদের বেশির ভাগকেই করোনা সংকটে দেখা যাচ্ছে না। আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে দলকে পুজি করে ব্যবসা করে কোটিপতি হয়েছেন তাদের বেশিরভাগকেই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে দেখা যাচ্ছে না।
গত দ্বাদস নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন ৪০৪৩ জন। এলাকাগুলোতে সেই এমপি প্রার্থীদের বেশিরভাগই অনুপস্থিত।
করোনা সংকটে দলের নেতাদের এমন অবস্থায় খুবই বিরক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের নেতাকর্মীদের ও বিত্তবানদের ত্রাণ সহায়তায় মাঠে নামাতে তদারকি করা হচ্ছে। গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতা। তারা দেশব্যাপী সংগঠনের নেতাদের মাঠে থেকে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।