পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে মালয়েশিয়ায় অভিবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। লকডাউন কিছুটা শিথিল করায় ভিসা পারমিট, ইনস্যুরেন্স ও সিআইডিবি কার্ড (নির্মাণ সেক্টরে কাজ করার অনুমতি পত্র) দেখিয়েই অভিবাসী কর্মীরা স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফি স্ব স্ব কর্মীকেই পরিশোধ করতে হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যারা টিকে যাবে কেবলমাত্র তারাই কাজে যোগদানের সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে দেশটিতে ঘরবন্দি লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসী কর্মী স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় দেশটিতে বসবাসকারী দু’লক্ষাধিক অবৈধ বাংলাদেশি কর্মী লকডাউন শিথিল করার পরেও কাজে যোগদানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মালয়েশিয়া থেকে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র এতথ্য জানিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ ছয় সপ্তাহ পর গতকাল সোমবার থেকে লকডাউন কিছুটা শিথিল করেছে মালয়েশিয়া সরকার। এতে দেশটিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় খুলতে শুরু করেছে। মালয়েশিয়ার জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা মন্ত্রী ইসমাঈল সাবরি ইয়াকুব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ব্যবসার সব খাতে কর্মরত অভিবাসী কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে কভিড-১৯ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে পরীক্ষার খরচ তাদেরই বহন করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরের কোতোয়ারাস্থ রাজধানী রেষ্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী প্রবাসী ব্যবসায়ী কাজী সালাহ উদ্দিন জানান, মালয়েশিয়ায় স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক করায় দেশটিতে ঘরবন্দি দু’লক্ষাধিক অবৈধ বাংলাদেশি কর্মী সবচেয়ে বেকায়দায় পড়েছেন। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তারা স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না এবং কাজে যেতে পারবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মহামারীর এ ভয়াবহ সঙ্কটকালে মানবিক দৃষ্টি দিয়ে এসব অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ দিয়ে কাজে যোগদানের ব্যবস্থা করলে তারা দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট অংশিদারের ভূমিকা রাখতে পারবে। তিনি এ ব্যাপারে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামান করেন। মালয়েশিয়ার সিম্বোল চাহায়া(এম) এসডিএন-বিএইচডি’র ডিরেক্টর রাজিবুল হাসান কুয়ালালামপুর থেকে জানান, গত জানুয়ারি থেকে ভিজিট ভিসায় মালয়েশিয়ায় গিয়ে যারা আটকা পড়েছেন তারা লকডাউন ছাড়ার পর পরই কোনো প্রকার জরিমানা ব্যতীত বিমানের টিকিট কেটেই দেশে ফেরার সুযোগ পাবেন। তিনি বলেন, দেশটিতে বসবাসকারী অন্যান্য অবৈধ বাংলাদেশিকে এ সুযোগ দেয়া হলে অনেকেই দেশে চলে আসতো।
কুয়ালালামপুর থেকে ভেস্ট মার্কেটিং এসডিএন-বিএইচডি’র ডিরেক্টর মো. রুহুল আমিন জানান, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে অভিবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্যোগ খুবই ভালো উদ্যোগ। কিন্ত দেশটিতে অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীদের বৈধ ভিসা পারমিট, ইনস্যুরেন্স ও সিআইডিবি কার্ডের না থাকায় তারা স্বাস্থ্য পরীক্ষার মুখোমুখি হতে পারছে না। তিনি বলেন, দেশটির সাধারণ ক্ষমার আওতায় গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি কর্মী দেশে ফিরে গেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।