পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মংলা সমুদ্র বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ১১টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এছাড়া আরও সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার তিনটি বড় প্রকল্প প্রস্তাবনায় রয়েছে। যা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। এ প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে মংলা বন্দরের চিত্র পাল্টে যাবে। বেড়ে যাবে বন্দরের গতি ও ধারণ ক্ষমতা। ১০ ফিট গভীরতার জাহাজও জেটিতে ভিড়তে পারবে। সংশ্লিষ্টরা এমনটিই মনে করছেন। মংলা বন্দর উন্নয়নে ভারত দিচ্ছে ৬,২৫৬ কোটি টাকা।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, দেশি-বিদেশি জাহাজের অবস্থান নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্য ভিটিএমআইএস প্রবর্তন ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (ভিটিএমআইএস) প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৫২ কোটি টাকা। বাস্তবায়নকাল: ২০১৭-১৮ হতে ২০২০-২১। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বন্দর সীমানায় আসা সমুদ্রগামী জাহাজসমূহ মনিটরিং করাসহ দক্ষতার সঙ্গে হ্যান্ডলিং করার মাধ্যমে সেবারমান উন্নত করা যাবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মংলা বন্দর চ্যানেলের আউটার বারে ড্রেজিং প্রকল্প এগিয়ে চলছে। ৭১২ কোটি ৫০ লাখ টাকার এ প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ২০১৭ সালের জুলাই থেকে এ বছরের ডিসেম্বর। প্রকল্পটির অধীনে ১০৩ দশমিক ৯৫ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন করা হবে।
মংলা বন্দরের জন্য সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বাস্তবায়নে ২৪ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকার প্রকল্প কাজ এগিয়ে চলছে। এর বাস্তবায়নকাল ২০১৮-১৯ থেকে ২০২০-২১। প্রকল্পটির অধীনে মংলায় একটি সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হবে।
মংলা বন্দরের হারবার চ্যানেলের ফুড সাইলো এলাকায় ড্রেজিং করার জন্য ৩৬ কোটি ৩৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকার প্রকল্প আগামী জুনে শেষ হবে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পটির শুরু হয়। প্রকল্পটির অধীনে ১৩ দশমিক ৩৬ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং কাজ সম্পাদন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মংলা বন্দরে নির্বিঘ্নে জাহাজ আগমন ও নির্গমণের পথ সুগম হবে। ইতোমধ্যে ১১ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
মংলা বন্দরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি/সরঞ্জাম সংগ্রহে ৪৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার একটি প্রকল্প ২০১৮ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়, যা শেষ হবে জুন ২০২১। প্রকল্পটির অধীনে বিভিন্ন ধরনের ৬৪টি ইকুইপমেন্ট এবং ১১টি নির্মাণ যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হবে। এর ফলে বন্দরে কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
মংলা বন্দরের বিদায়ী চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল শেখ মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, মংলা বন্দরের গতি বাড়াতে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে কাজ এগিয়ে চলছে। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে বন্দরের কর্যক্রমে নতুন ধারা যুক্ত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।