পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেনাপোল বন্দর শ্রমিকদের পারিশ্রমিকের ১ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে বন্দর শ্রমিকরা। বন্দরের পন্য লোড আনলোড বন্ধ রেখে উত্তেজিত শ্রমিকরা সড়ক দখল করে রাখে তিন ঘন্টা। গতকাল মঙ্গলবার বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা তাদের পাওনা ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ফেরতের দাবিতে বন্দরের ৫নং গেটে দফায় দফায় বিক্ষোভ করে। বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের চাপের মুখে বন্দরের শ্রমিক নেতা নকিম উদ্দিন মোল্লা টাকা ফেরতের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করে। বন্দর শ্রমিকদের ২টি সংগঠন মিলে শ্রমিক নকিম উদ্দিনের নিকট থেকে একটি অঙ্গীকারনামা স্টাম্পে স্বাক্ষর করা হয়।
বেনাপোল বন্দরের কর্মরত শ্রমিক সংগঠন ৮৯১-এর সভাপতি কলিম উদ্দিন জানান, তার সংগঠনের শ্রমিক সংখ্যা ৬শ’ ১৪ জন। বন্দরের ক্রেন সাইডের মালামাল লোড আনলোড খাত থেকে প্রতিদিন মুজুরি এবং বখশিষের একটি অংশ জমা হয় সংগঠনের নেতা নকিম উদ্দিনের কাছে। গত ১০ বছরে তার নিকট জমাকৃত টাকার পরিমান দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ।
করোনার কারণে শ্রমিকরা এখন বেকার, তাদের ঘরে খাবার নেই। এমতাবস্থায় সংগঠনের জরুরি মিটিং ডেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় জমাকৃত টাকা শ্রমিকদের মধ্যে ভাগ করে দেয়ার। সিদ্ধান্ত মোতাবেক নকিম উদ্দিনের কাছে টাকা চাইলে সে টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করতে থাকে। গত ৪ মে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের একটি অংশ আন্দোলন শুরু করলে সে আগামী এক মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেবে বলে স্টাম্পে অঙ্গীকারনামা সই করে দেয়। স্টাম্পে সই করার খবর শোনার পরে শ্রমিকরা শান্ত হয়ে কাজে যোগ দেয়।
এদিকে শ্রমিক নেতা নকিম উদ্দিন মোল্লা টাকা আত্মসাতের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, সংগঠনের কিছু টাকা তার কাছে জমা ছিল। ওরা যেটা বলেছে সেটা ঠিক না। আমার কাছ থেকে স্টাম্পে সই করিয়ে নিয়েছে। পরস্পর বিরোধী বক্ত্যব্যে বর্তমানে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বন্দরের শ্রমিকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।