পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
করোনাভাইরাস দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে। অর্থনীতির চাকা স্থিতিশীল রাখতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ অবস্থায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় সংকোচনের জন্য অফিস স্পেস ভাড়া, সাজসজ্জা বন্ধ রাখা, চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) বিদেশ ভ্রমণ, বেশি দামি গাড়ি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাসহ পরিচালন ব্যয় কমানোর জন্য ৯ দফা নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান ও এমডিদের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একটি নির্দেশনামূলক চিঠি দিয়েছে। এসব নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিশ্বের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এ সংকট মোকাবিলায় রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহে অধিকতর তারল্য প্রবাহ বাড়িয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রাখা ও কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। এর প্রস্তুতি হিসেবে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অনাবশ্যক পরিচালন ব্যয় হ্রাসকল্পে নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হল।
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-
১. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অস্থাবর সম্পদ ক্রয়, অফিস স্পেস ভাড়া, সাজসজ্জা ইত্যাদি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে।
২. গাড়ি ব্যবহারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ সার্কুলার অনুসরণ করতে হবে এবং সাশ্রয়ী হতে হবে।
৩. বোর্ড সভাসহ অন্যান্য সভা অনুষ্ঠান, বার্ষিক সাধারণ সভা, আপ্যায়ন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যয় যথাসম্ভব কমাতে হবে। সভার জন্য ভেনু ভাড়া না করে ব্যাংকের কনফারেন্স রুমেই আয়োজন করতে হবে।
৪. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের চেয়ারম্যান ও নির্বাহীদের অনাবশ্যক বিদেশ ভ্রমণ না করা।
৫. বাৎসরিক ক্যালেন্ডার, ডায়েরি মুদ্রণ বা এ জাতীয় প্রচারণামূলক ব্যয়ে অর্থ বরাদ্দ সীমিত করতে হবে।
৬. কর্মচারীদের ভ্রমণ ও যাতায়াত ভাতা, আপ্যায়ন খরচ, স্টেশনারি, উন্নয়ন ফান্ডসহ বিবিধ খরচে মিতব্যয়ী হতে হবে।
৭. ক্রান্তিকালীন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সভাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।
৮. পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ ইত্যাদি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।
৯. ব্যাংকের ফ্রন্টলাইনে যারা কাজ করেন, তাদের অধিকতর স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রদান করা ও যাতায়াত সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়াতে হবে। এসব নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।