Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গরম পানিতে সুস্থ বাবা ও দুই মেয়ে

আল্লাহ ও চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০২০, ১২:০৩ এএম

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম। তারপর আমার বাবা ও ছোট বোন আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। হাসপাতালে বসে শুধু আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছি। আল্লাহর রহমত ও ডাক্তারদের চেষ্টায় এখন আমরা সুস্থ হয়েছি। আল্লাহর কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া। আর ডাক্তারদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। ১৬ দিন পর করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এভাবে নিজের উচ্চসিত মনোভাব প্রকাশ করলেন কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার হালিমা তুজ স্নিগ্ধা। শুধু স্নিগ্ধাই নয়, করোনাকে জয় করলো তার বাবা কাজী আবুল হোসেন ও ছোট বোন নওশীন শার্মিলী নীরা। গত রোববার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে সুস্থতার ছাড়পত্র নিয়ে নিজ ঘরে ফিরেছেন তারা। গরম পানির ভাপ আর গড়গড়া মাধ্যমেই করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন বলে তারা জানান।

জানা গেছে, গত ১৭ এপ্রিল বড় মেয়ে স্নিগ্ধা প্রথমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। পরে তাকে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর পরিবারের আরও চারজনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে বাবা ও ছোট বোনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপর তাদের দুইজনকেও একই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ১৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর বাবা ও দুই মেয়ে সুস্থ হন।

সুস্থ হয়ে স্নিগ্ধা বলেন, চিকিৎসকরা আমাদের ২-৩টি করে নরমাল ট্যাবলেট দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আমরা নিয়ম মেনে তিনবেলা সেবন করেছি এসব ওষুধ। সেই সঙ্গে গরম পানির ভাপ নিয়েছি, গার্গল করেছি, লেবুর শরবত পান করেছি, ফল খেয়েছি এবং ব্যায়াম করেছি। নিয়ম-কানুন মেনে চলেছি বলে দ্রুত করোনামুক্ত হয়েছি আমরা। ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা বলেন, স্নিগ্ধা ভৈরবের করোনায় আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগী ছিলেন। পরে তার বাবা ও ছোট বোন আক্রান্ত হন। তারা সুস্থ হয়েছেন শুনে আমি খুশি হলাম।



 

Show all comments
  • Tunvick Zahan Tuhin ৫ মে, ২০২০, ১:১০ এএম says : 0
    Alhamdulillah... May Allah give us the same spirit and make us able to utilise our chances of being alive
    Total Reply(0) Reply
  • Wasequr Rahman Bechan ৫ মে, ২০২০, ১:১১ এএম says : 0
    নতুন এক ভয়ংকর শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে মানুষ - যে শত্রুকে কেউ চেনেনা, প্রতিহত করার হাতিয়ারও হাতে নেই - কিন্ত তবুও লড়ছে মানুষ স্রেফ মনের জোরে। কিশোরগঞ্জের বাবা- মেয়েদের সেরে ওঠার লড়াইটা, সবার জানা দরকার এ জন্য যে আক্রান্ত হলে কিভাবে খালি হাতে লড়তে হয়...! Thanks @ Md. Mozammel Haque
    Total Reply(0) Reply
  • Sauren Chakrabhartty ৫ মে, ২০২০, ১:১১ এএম says : 0
    এতে করে মনোবল চাঙ্গা হয়।সচেতন মানুষের পরামর্শ-কাজে লাগে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Shafiul Azam Sazal ৫ মে, ২০২০, ১:১২ এএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ ।মাশাল্লাহ। মাশাল্লাহ সুন্দর পদ্ধতি ।আমরা এভাবেই এগিয়ে যাব।
    Total Reply(0) Reply
  • Saud Talukder ৫ মে, ২০২০, ১:১২ এএম says : 0
    প্রত্যেকেরই এরকম পদ্ধতিটা অনুসরণ করা কর্তব্য। ইনশাআল্লাহ এতেই অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Quayum ৫ মে, ২০২০, ১:১২ এএম says : 0
    আমিন ইয়া রাহমানির রাহিম আমাদের অসহায় মানুষদেরকে তুমি রক্ষা কর।
    Total Reply(0) Reply
  • Sadekul Islam Sotton ৫ মে, ২০২০, ১:১২ এএম says : 0
    সবার এই পদ্ধতিটা অনুসরণ করা দরকার,,ইনশাআল্লাহ এতেই উপকার পাওয়া যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Nazrul Islam Nazrul ৫ মে, ২০২০, ১:১৩ এএম says : 0
    মনোবল বেড়ে গেল
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ৫ মে, ২০২০, ৭:৪০ এএম says : 0
    এই কোভিড-১৯ রোগটা হচ্ছে শ্বাসরোধ করা এটা বলা যায় হাপানী রোগের উন্নত পর্যায়ে। বৈজ্ঞানিক যুগে মানুষ যেমন এগিয়েছে তেমনি ভাবে রোগ জীবানুও বৈজ্ঞানিক উপায়ে উন্নত হয়েছে। একসময়ে হাপানী মানে শ্বাস কষ্টে মানুষ মারা যেত এখন এই রোগকে মানুষ পকেটে রাখে। কাজেই এর জীবানু এখন উন্নতভাবে নিজেকে শক্ত করে এসেছে মানুষকে কুবকাত করার জন্যে। এখন এই রোগকে সামাল দিতে হলে নিজের গলাকে শক্তিশালী করতে হবে তাহলেই এই কোভিড-১৯ আপনাকে ছুতে পারবেনা। এই সহজ বিষয়টা মানুষ বুঝেও অবুঝের মতই করে আসছিল এতদিন। এই করোনাভাইরাস আবিষ্কৃত হয়েছে ১৯৬৪ সালে তাহলে বুঝতেই হয় তখন থেকেই এই ভাইরাস মানুষের ভিতর ছিল কিন্তু আক্রমণ করার শক্তি ছিল না সেজন্যেই এনারা সুবিধা করতে পারছিলেন না। এখন কোন কারন বশত ওনারা শক্তিশালী হয়েছেন আর মানুষকে কুবকাত করছেন। আল্লাহ্‌র শ্রেষ্ট সৃষ্টি মানুষ কাজেই এই মানুষকে কুবকাত করাটা কঠিন ব্যাপার। এরপরও মানুষের ভুলের জন্যেই মানুষ বেকায়দায় পরে যায়। মানুষের শ্ত্রু হচ্ছে মানুষ এটাই সত্য। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে আল্লাহ্‌র বৈশিষ্ট জানার ও বুঝার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply
  • MUSA ৫ মে, ২০২০, ১১:২৭ এএম says : 0
    alhamdulillah
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ