পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইইডিসিআরসহ দেশের ৩১টি গবেষণাগারে করোনাভাইরাস শনাক্তে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু সংক্রমন পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহে চলছে চরম অব্যবস্থাপনা। পদে পদে মানুষকে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। কখনো ফোন করে হেল্পলাইনে কাউকে পাওয়া যায়, আর ফোন ধরলেও নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে সঠিক কোন তথ্য দেন না আইইডিসিআর। আবার ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও নমুন দেয়া যাচ্ছে না। রাজধানীসহ সারাদেশে নমুনা পরীক্ষার হাসপাতালগুলোতে রয়েছে কিট সংকট এবং চরম অব্যবস্থাপনা। নমুনার ফলাফল পেতেও লেগে যাচ্ছে কয়েকদিন। ভোক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। এর মধ্যেই জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ঘোষণা দিয়েছে এখন থেকে তারা করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করবে না। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, আইইডিসিআর এখন থেকে করোনা সংক্রমণ, নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গবেষণা করবে।
জানতে চাইলে আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোগীর রোগ নির্ণয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ আইইডিসিআরের কাজের মধ্যে পড়ে না। কমিউনিটি লেভেলে রোগ নির্ণয়ের জন্য যে নমুনা পরীক্ষা, তার দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদফতর নিয়ে নিয়েছে।
গতকাল বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্বদ্যালয় হাসপাতালে দেখা গেল দীর্ঘ লাইন। শত মত মানুষ করোনার নমুনা দেয়ার জন্য এসেছেন। কিন্তু লাইন এগুচ্ছে না এবং নিরাপদ দূরত্বও বজায় রাখছেন না কেউ। করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে আসা কয়েকজন বলেন, এখানে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫শ’ ব্যক্তি আসেন করোনা নমুনা দেয়ার জন্য। সকাল ৬টা থেকে এসে কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকেই নমুনা দিতে পারছেন না। আবার অনেকেই জানেন না কিভাবে কোথায় করোনা নমুনা জমা দিতে হয়। চরম অব্যস্থাপনায় চলছে। একই অবস্থা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সরকার স্বীকৃত করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগৃহ ও পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্য হাসপাতালগুলোতে নমুনা দিতে গিয়েও করোনার লক্ষণে আক্রান্ত রোগীদের চরম হয়রানির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। পরীক্ষার জন্য টাকা জমা দেয়া, রসিদ সংগ্রহ এবং নমুনা দেয়াসহ প্রতিটি জায়গায় দীর্ঘ লাইন ধরতে হচ্ছে। ভোর ৬টার সময় এসে লাইনে দাঁড়িয়েও অনেক সময় নমুনা দেয়া যায় না। এছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে আইইডিসিআর থেকে নমুনা সংগ্রহের যে কথা বলা হয়েছে সেটি রীতিমতো সোনার হরিণ। এখন ঘোষণা দেয়া হয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুন সংগ্রহ করা হবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধিকাংশ হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের জন্য পর্যাপ্ত টেকনোলজিস্ট নেই। কোন কোন হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ এবং তা নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার কাজ করতে হয় একজন টেকনোলজিস্টকে। এমন অব্যবস্থাপনায় দিনে দিনে করোনা সংক্রমন যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। করোনা টেস্ট ব্যাপকভাবে না হওয়ার কারণে আক্রান্ত অনেকেই জানতে পারছে না যে তার কোভিড-১৯ সংক্রমণ রয়েছে। অথচ ওই ব্যক্তি নিজের অজান্তে বাসা থেকে শুরু করে বাজার, অফিস আদালত সবদিকে ঘুওে বেড়াচ্ছে আর ভাইরাস অন্যদের মধ্যে ছড়াচ্ছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব সেলিম মোল্লা জানান, করোনাভাইরাসের সংখ্যা বাড়লেও পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহের মূল দায়িত্ব পালনকারী মেডিকেল টেকনোলজিস্টের সংখ্যা বাড়েনি। সারাদেশে সরকারিভাবে মাত্র ৩ হাজার টেকনোলজিস্ট কাজ করছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ৮১ হাজার ৪শ ৩৪ জনের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষায় বাড়তি চাপ তৈরি হচ্ছে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।