পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনায় কার্যত লন্ডভন্ড করে দিয়েছে সবজি বাজার।‘ভেজিটেবল জোন’ যশোরের চাষিরা উপযুক্ত মূল্য পাচ্ছেন না সবজির। পাইকারী বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি করোনার কারণে স্বাভাবিক হয়নি। অভ্যন্তরীণ চালানেও রয়েছে নানা সমস্যা। তারপর সপ্তাহের বৃষ্টিতে মাঠে সবজির বেশ ক্ষতি হয়েছে। টানা প্রায় দেড়মাসের করোনা ধাক্কা সামাল দেয়া কঠিন হচ্ছে চাষিদের। সবজির উৎপাদন ও বিপনন বিঘ্নিত হওয়ায় অপুরণীয় আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে সবজি চাষিদের।
যশোরের বারীনগরের চাষি আক্কাছ আলী বললেন, বাজারে পাইকারী ব্যবসায়ী, মুনাফালোভী, মধ্যস্বত্বভোগীদের দাপট নেই। কিন্তু করোনা আমাদের ক্ষতি করে দিলো। এই মুহূর্তে সবজির যে দাম হওয়ার কথা, সেটি হয়নি। উৎপাদন খরচ উঠছে না। খাজুরা এলাকার চাষি আব্দুর রহিম জানালেন, করোনায় বড় ধাক্কা খেলাম। আমাদের মাঠে তো সবজি ছাড়া অন্য কোন ফসলের আবাদ করি না, সবজি এখন মাঠ ভরা অথচ ক্রেতা কম। যশোরের বাজারে একরকম পানির দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। তবে বেগুনে কিছুটা মূল্য পাচ্ছেন চাষিরা। বেগুন বাজারে ৫০/৬০ টাকা দরে বেগুন বিক্রি হলেও চাষিরা মাঠে বিক্রি করছেন মাত্র ২০/২৫টাকা। এই সময়ে উচ্ছের কেজি থাকার কথা কমপক্ষে ৪০/৫০টাকা। সেখানে বিক্রি হচ্ছে ১৫/২০টাকায়। লাউ, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, টমেটোসহ সব সবজির মূল্য অর্ধেকেরও নিচে নেমে গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. আখতারুজ্জামান গতকাল সোমবার দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, যশোরে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমি বারোমাসই সব ধরনের সবজিতে ভরপুর থাকে। করোনার মধ্যেও চাষিরা সতর্কতার সাথে সবজি উৎপাদন করছেন। কিন্তু ভোক্তাদের চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং অনেকটা যোগাযোগ বিভ্রাটের কারণে সবজি চাষিরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের যশোরের জেলা বাজার কর্মকর্তা মো. সুজাত হোসেন খান জানান, সবজির বাজার ক্রমাগতভাবে স্থিতিশীল হচ্ছে। মাঝে তো একেবারেই খারাপ অবস্থা ছিল। করোনার কারণে বাজারে ক্রেতা সমাগম কম হওয়ায় সবজি বিক্রির হার কমে যায়। যশোর থেকে নিয়মিত সবজির অভ্যন্তরীণ চালানও কম হয় ট্রাক ভাড়া বৃদ্ধির কারণে। ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে সবজির চালান যাওয়া শুরু হয়েছে। এতে মূল্যও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার কথা সবজির বিপননে ধারাবাহিকতা নষ্ট হওয়ায় সবজি চাষিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।