পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মহামারির কারণে সারা বিশ্বেই অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। লকডাউনের কারণে বেশিরভাগ ব্যবসাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক ভিত্তি এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার বিচারে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে অর্থনীতি বিষয়ক আর্ন্তজাতিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট। তাদের তালিকায় করোনাভাইরাস সঙ্কটে সবচেয়ে কম ঝুঁকিতে থাকা শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নাম।
ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স (আইআইএফ) অনুযায়ী, জানুয়ারী থেকে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা উদীয়মান-বাজারের বন্ড এবং শেয়ার থেকে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার উত্তোলন করেছেন। এটি ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার সময়ের চেয়ে তিনগুণ বেশি। এমন মন্দার মধ্যেও সবচেয়ে কম ঝুঁকিতে বিশ্বের ৬৬টি দেশের এই তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে নবম স্থানে, যা চীন ও ভারতের চেয়েও ভালো। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কেবল বাংলাদেশই এই তালিকার শীর্ষ দশে এসেছে।
করোনাভাইরাস সঙ্কটে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ অবস্থায় থাকা শীর্ষ দশ হল- বতসোয়ানা, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, পেরু, রাশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, সউদী আরব, বাংলাদেশ ও চীন। ৬৬ দেশের এই তালিকায় ভারত ১৮, পাকিস্তান ৪৩ এবং শ্রীলঙ্কা ৬১তম অবস্থানে রয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা দশ দেশ হল- ভেনেজুয়েলা, লেবানন, জাম্বিয়া, বাহরাইন, অ্যাঙ্গোলা, শ্রীলঙ্কা, তিউনিশিয়া, মঙ্গোলিয়া, ওমান ও আর্জেন্টিনা।
চীন থেকে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারী যে বড় ধরনের অর্থনৈতিক দুর্যোগ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে কারও সন্দেহ নেই। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা বন্ধ থাকায় তিন দশকের মধ্যে এবারই প্রথম বছরের শুরুর তিন মাসে অর্থনীতি সঙ্কুচিত হওয়ার তথ্য দিয়েছে চীন সরকার। ইউরোপ ও আমেরিকায় মহামারীর প্রকোপ শুরু হয়েছে পরে। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক দেশেই এখনও লকডাউন ওঠেনি। তাদের ক্ষতির তথ্যও সুনির্দিষ্টভাবে আসতে শুরু করেনি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকাসহ শতাধিক দেশ ইতোমধ্যে আইএমএফ এর সহায়তা চেয়েছে। মিশরের মত কোনো কোনো দেশ আগের ঋণ শুধতে না পেরে বেইল আউট চেয়েছে।
কোভিড-১৯ উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে অন্তত তিনভাবে। লকডাউনের কারণে মানুষ ঘরে থাকতে বাধ্য হওয়ায় উৎপাদনও বন্ধ থাকছে। বিশ্বজুড়ে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় রপ্তানি আয় কমে যাচ্ছে। আর বিশ্বের বড় একটি অংশ বেকায়দায় থাকায় বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহেও টান পড়ছে। এই মহামারী যদি জুলাইয়ের আগেও থিতিয়ে আসে, তারপরও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জিডিপি এবার আইএমএফের গত অক্টোবরের পূর্বাভাস থেকে ৬.৬ শতাংশ কম হবে বলে মনে করছে ইকোনমিস্ট।
সঙ্কট মোকাবেলা করতে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর অন্তত আড়াই ট্রিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হতে পারে বলে ইকোনমিস্টের ধারণা। আর এই টাকা তাদের সংগ্রহ করতে হবে বিদেশ থেকে, অথবা নিজেদের রিজার্ভ ভেঙে চলতে হবে। উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর শক্তি আর দুর্বলতার জায়গা বিচার করতে গিয়ে চারটি সূচক ইকোনমিস্ট বিবেচনায় নিয়েছে। এগুলো হলো- জিডিপির শতাংশ হিসেবে সরকারের ঋণ, বিদেশি ঋণ, ঋণের সুদ এবং রিজার্ভ। সূত্র : দ্য ইকনোমিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।