পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউনে বিপাকে পড়েছে দেশের প্রান্তিক মানুষ। আয়ের পথ বন্ধ মানুষগুলোকে সরাসরি সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। উদ্যোগের অংশ হিসেবে দুই কোটি মানুষকে (৫০ লাখ পরিবার; পরিবার প্রতি চারজন) সরাসরি নগদ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। প্রতি পরিবার নগদ দুই হাজার ৪০০ টাকা করে পাবেন। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয় দু-এক দিনের মধ্যে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ছাড় করবে। পুরো বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তদারক করছে বলে জানা গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, স¤প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রান্তিক মানুষদের সহায়তা করার ঘোষণা দেন। সে অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করে। এ ক্ষেত্রে গরিব, দু:স্থদের চিহ্নিত করতে জেলা, উপজেলা পর্যায়ের চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ প্রশাসনের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। আর শহর এলাকার জন্য প্রশাসন ও মন্ত্রণালয়গুলো একসঙ্গে কাজ করছে। সূত্র জানায়, ৫০ লাখ পরিবারে প্রতি পরিবারের সদস্য চারজন হিসেব ধরলে নগদ প্রণোদনার আওতায় আসছে দুই কোটি প্রান্তিক মানুষ। প্রতি পরিবার মাসে দুই হাজার ৪০০ টাকার নগদ সহায়তা গড়ে প্রতিজন পাবেন ৬০০ টাকা। প্রণোদনার অর্থ সরাসরি চলে যাবে তাদেও মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে অথবা নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। প্রথম কিস্তির টাকা আগামী দু-এক দিনের মধ্যে দেওয়া হতে পারে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান জানান, খুব শিগগিরই এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ছাড় করা হবে। বিষয়টি সরাসরি তদারক করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থ ছাড়সহ অন্যান্য কাজ করবে। এই অর্থ শহর-গ্রাম দুই জায়গায়ই প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এটা ভাল উদ্যোগ। তবে গরিব বা প্রান্তিক মানুষ কিভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে অনেক ফাঁক থাকতে পারে। তালিকায় ফাঁক-ফোকর থাকলে সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ দিলে প্রকৃত প্রান্তিকরা বঞ্চিত হবে। সব মিলিয়ে বিষয়টি ভালো। গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমাদের হিসেবে দেড় কোটি পরিবারকে নগদ সহায়তা দেওয়া দরকার। দেওয়া হচ্ছে ৫০ লাখ। সংখ্যাটা বাড়ালে ভালো হয়। টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে তিন হাজার করা হলে একজন লোক দু’মুঠো ভাত খেতে পারবে। এতে সরকারের খরচ বাড়বে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।