প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে সাধারণ ছুটির নামে লকডাউন চলছে। সরকার সাধারণ ছুটি দফায় দফায় বৃদ্ধি করেছে। এই লকডাউনে সময় বাজারে ওষুধের দোকান এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাঁচাবাজার ও মুদি দোকান খোলার অনুমতি রয়েছে।
এ ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। তবে সে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অন্যান্য পণ্যের দোকানপাটও এবার খুলছে। এর ফলে পাড়া মহল্লার অলিগলি এবং হাট-বাজারে ভিড় বেড়ে যাওয়ায় করোনাঝুঁঁকিও বাড়ছে। অধিকাংশ বাজারে অনেক ক্রেতা। তারা কেনাকাটায় সামাজিক দূরত্ব (ন্যূনতম ৩ ফুট) মানছেন না। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেইট বাজার ও আশপাশের রাস্তায় গতকাল সবজি ও ফলের দোকান খোলা থাকতে দেখা যায়। খিলগাঁও রেলগেইট বাজারে প্রবেশের রাস্তা এবং ভেতরের গলিগুলো খুবই সরু। পাশাপাশি দুজন চললে গায়ে গা লেগে যায়। বাজারের ভেতরে ক্রেতাদের ভিড়। গা-ঘেষাঘেষি করে তারা বাজার করছেন।

মালিবাগ-রামপুরা বিশ্বরোডের পাশের বিভিন্ন দোকানও খোলা হয়েছে। রাস্তার দু’পাশে বিভিন্ন গাড়ির ওয়ার্কশপ, মোটরসাইকেল ও গাড়ির যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, চশমা, হার্ডওয়্যার, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও পোশাকের দোকানসহ নানা পণ্যের কিছু দোকান খুলে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। দুই একদিন ধরে এসব দোকান খুলতে শুরু করেছেন দোকানিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, গত শুক্রবার অর্ধেক খুলে বসেছিলেন। গত শনিবার পুরোপুরি খুলেছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী টহল দিলেও কিছু না বলায় সাহস নিয়ে অনেকেই পুরোপুরি খুলতে শুরু করেছেন।

সরকারের ছুটির সঙ্গে সঙ্গে দোকান মালিক সমিতি দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গত ১ মে থেকে দোকান খোলার আবেদন করে দোকান মালিক সমিতি। কিন্তু এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানান বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমিতির নেতাদের বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান খুললে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সরকারের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখার আহ্বান জানান তিনি।