বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের রায়েদ বাজারে প্রশাসন ঘোষিত লকডাউনের সময় ইফতার সামগ্রীর দোকান বসানোর পর পুলিশের বাধাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেলে রায়েদ বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়। ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কর্তব্য কাজে বাধা দেয়ার অপরাধে পুলিশ বাদী হয়ে ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
জানা যায়, পহেলা মে, শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার রায়েদ বাজারে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ইফতার সামগ্রীর দোকান বসায় এবং অন্যান্য দোকানপাটও খোলা রাখে। এতে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় জমে। খবর পেয়ে স্থানীয় সিংহশ্রী ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই সেকান্দর আলীর নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোকানীদের বুঝানোর চেষ্টা করে। এসময় পুলিশের লাঠির আঘাতে একটি দোকানে গ্লাস ভেঙ্গে গেলে ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয় এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। পরিস্থিতি খারাপ দেখে পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে কিছুটা পিছু হটে। খবর পেয়ে কাপাসিয়া থানার এসআই আই নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকালে স্থানীয় রায়েদ বাজারে লকডাউন অমান্য করে দোকানপাট খোলা রাখায় সামাজিক দূরত্ব ভেঙ্গে পড়ে। খবর পেয়ে সিংহশ্রী ক্যাম্পের আইসি এএসআই সেকান্দর আলীর নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে যায়। এসময় কিছু লোকজন ভয়ে ছুটাছুটি শুরু করলে একটি দোকানের বাউন্ডারী গ্লাস ভেঙ্গে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান হয়ে যায়। পুলিশ চলে আসার সময় এক পর্যায়ে পিছন দিক থেকে জনৈক মকবুল ও বাদল মেম্বারের নেতৃত্বে উশৃঙ্খল ব্যবসায়ীরা লাঠিসোঠা নিয়ে পুলিশের উপর হামলা করে। এতে ওই পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই (এবি) আবু কায়েসসহ ৩ সদস্য আহত হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এএসআই সেকান্দর আলী জানান, ঘটনার পর তাৎক্ষনিক ভাবে আহতদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয় এবং ইন্দনদাতা সাবেক মেম্বার বাদলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন ভিন্ন কথা। রায়েদ বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী ও এলাকার ক্রেতা সাধারণ অভিযোগ করেন, পুলিশ এসে কারো কোন কথা না শুনে ভাংচুর ও ইফতার সামগ্রী ফেলে দেয়ার কারনে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের ব্যাপক প্রার্দুভাবের ফলে কাপাসিয়া উপজেলায় এ পর্যন্ত ৭০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। ফলে উপজেলা প্রশাসন গত ২৭ এপ্রিল থেকে উপজেলার ছোট বড় সকল হাটবাজার ও পাড়া মহল্লার দোকান পাট অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখার জন্য গণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। মাঠ পর্যায়ে তা কার্যকর করতে থানা পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।