বাংলাদেশের খাগড়ছড়ি রামগড়-ভারতের দক্ষিন ত্রিপুরার সাব্রুম মহকুমা শহরের আন্তর্জাতিক সীমান্তের ফেনী নদী দিয়ে আবারও এক মানসিক ভারসাম্যহীনকে অবৈধভাবে পুশ-ইন এর চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে স্থানীয় জনসাধারন ও বিজিবি জোয়ানরা।
এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (১মে) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে রামগড় সীমান্ত পিলার নং-২২১৫/৯আরবি সংল্গন্ন থানা ঘাট এলাকার ফেনী নদী দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাব্রুম মহকুমা শহর থেকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ মানসিক ভারসাম্যহীন এক পুরুষকে মারতে মারতে ফেনী নদী দিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইন করার চেষ্টা করে। এসময় ঐ এলাকার জনসাধারনরা বিষয়টি দেখে স্থানীয় ক্যাম্পে খবর দিলে বিজিবি জোয়ানরা নদীর পাড়ে অবস্থান নিয়ে পুশ-ইন চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। এসময় সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দু'দেশের ব্যাপক সীমান্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
রামগড় ৪৩ বিজিবি’র জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল তারিকুল হাকিম এ প্রতিনিধিকে বলেন, বিজিবি'র প্রতিরোধের মুখে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে বিএসএফ ফেরত নিলেও সীমান্ত অবস্থান করায় দুই পাড়ে উত্তেজনা বিরাজের ফলে রামগড়ের মহামুনী এলাকায় নির্মাণাধীন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ১ এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার রাত ৮টা চল্লিশ থেকে ৯ টা বিশ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিবি গুইমারা সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল জি এইচ এম সেলিম হাসান। বৈঠকে মানসিক ভারসাম্যহীন এ নাগরিককে ভারতে রেখেই তার পরিচয় শনাক্তের কার্যক্রম চালানোরসহ পরবর্তীত্বে সীমান্তের যেকোন সমস্যা হলে বিশৃঙ্খলা না করে সীমান্ত আইন অনুসারে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান- বিজিবি'র গুইমারা সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল জি এইচ এম সেলিম হাসান।
এর আগে, গত ২ এপ্রিল সীমান্তের একই এলাকা দিয়ে মানসিক এক ভারসাম্যহীন এক নারীকে অবৈধ ভাবে পুশ-ইন করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিএসএফ।